বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেকার ২ হাজার শ্রমিক

বগুড়ার বেনারসি শাড়ি পল্লী বন্ধ

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বেকার ২ হাজার শ্রমিক

বগুড়ায় বেনারসি শাড়ি পল্লীর ব্যস্ততা আর নেই। দিন যাচ্ছে আর ক্ষয়ে যাচ্ছে বেনারসি শাড়ি পল্লীর অতীত ঐতিহ্য। বেনারসি পল্লীর সফলতার অতীত ক্ষয়ে যেতে যেতে এখন বন্ধ হয়ে গেছে। মেশিনগুলো চলে না। ব্যস্ততা নেই। বেনারসির কারিগররা ভিন্ন পেশায় চলে গেছে। বেনারসি শাড়ি পল্লীর কারিগররা বলছেন, সুতার মূল্য বৃদ্ধি, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, বিদেশি পণ্যের দৌরাত্ম্য নানা সমস্যায় বেনারসি পল্লীর কর্ম থেমে গেছে। সম্ভাবনাময়ী এই শিল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ২ সহস্রাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। জানা যায়, দিনবদলে অনেকের পছন্দের তালিকা থেকে বেনারসি শাড়ি বাদ পড়ে যাচ্ছে। অথচ এই শাড়ি তৈরি করেই বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত ঘোলাগাড়ির বাসিন্দারা জীবন জীবিকা নির্বাহ করত। প্রায় ৪ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে নিজেদের জীবন ধারণ করার পাশাপাশি শাড়ির চাহিদা জোগান দিয়ে আসত। কিন্তু বেনারসি পল্লী বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকের স্বপ্ন এখন ধুঁকছে। বেকার হয়ে পড়েছে প্রায় ২ হাজার শ্রমিক। বগুড়ায় বেনারসি পল্লী গড়ে উঠে বগুড়া জেলা শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলায়। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে ঘোলাগাড়ী কলোনি। বাহিরের মানুষের কাছে ঘোলাগাড়ী কলোনি বেনারসি পল্লী নামেই সর্বাধিক পরিচিত। যুগ যুগ ধরে এই গ্রামের বাসিন্দাদের প্রধান পেশা ছিল বেনারসি শাড়ি তৈরি করা। গ্রামটিতে বর্তমানে ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বেনারসি শাড়ির কারিগররা জানান, সরকার কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে আগে তাঁতিদের বা বেনারসি কারখানা মালিকদের মেশিন প্রতি ১৮ হাজার টাকা করে ঋণ দিতেন। বর্তমানে তা বাড়িয়ে প্রায় লাখ টাকা করেছেন। কিন্তু ঢাকার ব্যবসায়ীরা সঠিক সময় তাদের পণ্যের মূল্য পরিশোধ না করায় ঋণের টাকা পরিশোধে হিমশিম খেতে হয়। কারখানার মালিক ও কারিগর আবদুল কাদির ও মো. আজাদ মঞ্জুর জানান, এখন বাজারে বেনারসি পাইকারি বাজারে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা, জামদানি ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

 

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর