রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পদোন্নতি চান প্রশাসনের কর্মকর্তারা

জনপ্রশাসনে চিঠি মন্ত্রিপরিষদের

ওয়াজেদ হীরা

নির্বাচনের আগে বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় কর্মরত দশম গ্রেডভুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) সহকারী কমিশনার (নন-ক্যাডার) পদে পদোন্নতির দাবি উঠেছে। পদোন্নতির আশায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে ১০ সেপ্টেম্বর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ মাঠপ্রশাসন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি (বামাপ্রককস)। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সেই চিঠি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ২৫ সেপ্টেম্বর পাঠানো হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। তবে এখনো পদোন্নতির বিষয়ে কোনো খবর নেই। তবে নির্বাচনের আগেই এর সুরাহা হবে এমন আশায় আছেন মাঠপ্রশাসন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ মাঠপ্রশাসন প্রশাসনিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম জাহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের মাঠ প্রশাসনে ৮৩১টি পদ আছে। কর্মরত আছে ৪০০-এর বেশি। আমরা যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি চাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি যোগ্যতার ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (নন-ক্যাডার) পদোন্নতি পাবে।

মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, আমাদের সব কাজই গুরুত্ব দিয়ে, অধিকতর যাচাইবাছাই করে করা হয়। মাঠ প্রশাসনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একটা ভূমিকা সব সময়ই আছে। এ বিষয়ে আমাদের একটি শাখা তাদের এই পদোন্নতির বিষয়ে করণীয় নিয়ে কাজ করছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে করা আবেদনে বামাপ্রককস পদোন্নতির যৌক্তিকতায় বলেছেন, সরকারের মাঠ প্রশাসনের সামগ্রিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। দশম গ্রেডভুক্ত এই প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ তৃণমূলে সরকারের অনুসৃত নীতি ও কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচন, জেলা প্রশাসনের বার্ষিক চুক্তি সম্পাদন, সিটিজেন চার্টার প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন, ত্রি-বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, পেনশন সহজীকরণ অনুযায়ী কল্যাণ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনসহ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ কর্মসম্পাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নসহ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করাসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও পদোন্নতির কোনো সুযোগ বা ব্যবস্থা নেই।

আবেদনে মাঠপ্রশাসন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি আরও জানায়, সচিবালয় (ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০০৬-এর তফসিল-১ অনুযায়ী বিভিন্ন ধাপে পদোন্নতি পেয়ে থাকে, ফলে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রকাশ করে মেধা বিকাশের সুযোগ পায়। পদোন্নতির প্রেক্ষিতে আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। যে কারণে সচিবালয়ে কর্মরতরা সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্রের কল্যাণমূলক কাজে সচেষ্ট হওয়ার প্রয়াস পাচ্ছে আর মাঠ প্রশাসনের (বিভাগ/জেলা/উপজেলা কার্যালয়ের) প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। যা একটি সুষ্ঠু রাষ্ট্র ও অফিস ব্যবস্থাপনার অন্তরায়। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ৮৩১টি পদ আছে উল্লেখ করে প্রশাসনিক পুনর্গঠনের আবেদন জানিয়েছেন।

এওদের সমিতির দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও মাঠ প্রশাসনে কর্মরত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। উদাহারণ হিসেবে জেলা উপজেলার অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দফতরের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর