রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জামায়াতের নাশকতায় আর্থিক সহায়তাকারী নারী চিকিৎসক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে জামায়াত কানেকশনে আটক নারী চিকিৎসককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গতকাল সকালে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। এই চিকিৎসকের নাম ফাতেমা সিদ্দিকা। তিনি প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ-বিশেষজ্ঞ। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম জানান, গত মে মাসে নগরীর শাহ মখদুম থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় পুলিশ তদন্তে নেমে চিকিৎসক ফাতেমা সিদ্দিকার সম্পৃক্ততা পায়। তিনি জামায়াতের নাশকতার অর্থ সহায়তাকারী। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, ডা. ফাতেমা ছাড়া আর কারা নাশকতায় আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে, সে বিষয়টি জানতে ইতোমধ্যে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

নগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকেই তাকে আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বিশেষ শাখা (ডিবি) ও শাহ মখদুম থানার একদল পুলিশ বাড়ির ভিতরে ঢোকে। ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নেওয়া হয়। অভিযানে পুলিশ কর্মকর্তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। রাজশাহী মহানগর জামায়াতের শুরা সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, ‘তিনি আমাদের একজন সুধী। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন।’

ফাতেমা সিদ্দিকার মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতাল আছে। গত ৪ এপ্রিল এই চিকিৎসকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এখনো কারাগারে আছেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর ফাতেমা সিদ্দিকার বাসায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। এ সময় বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ফাতেমা সিদ্দিকার ছেলে নাজমুস সাকিবকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক তরুণীকেও। বাড়ি থেকে সেদিন মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়। ওই চিকিৎসকের ছেলে বর্তমানে জামিনে আছেন।

 

সর্বশেষ খবর