রাজশাহীর চিকিৎসক গোলাম কাজেমের খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় কর্মবিরতি শুরু করেছেন চিকিৎসকেরা। শনিবার শুরু হওয়া কর্মবিরতি গতকালও ছিল। গতকাল বেলা ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা দ্বিতীয় দিনের মতো এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় চিকিৎসকেরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন এবং বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন। ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি থেকে তারা খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) রাজশাহীর সভাপতি ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী। তিনি বলেন, ‘খুনিদের ধরতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই বেঁধে দেওয়া সময় শেষে এই কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছি।’ কর্মসূচিতে বিএমএ রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি সিদ্দিকীসহ অন্য চিকিৎসকরা বক্তব্য দেন।

২৯ অক্টোবর রাত পৌনে ১২টার দিকে চেম্বারে রোগী দেখা শেষ করে ফেরার পথে খুন হন যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ গোলাম কাজেম আলী। তিনি একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। শিক্ষকতা ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে শুধু প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন।

রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুটি খুনের ঘটনাই পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুতই খুনিদের শনাক্ত করা যাবে।’