শিরোনাম
শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর আগমনে সরব হচ্ছে উন্নয়নকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

প্রায় পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ নভেম্বর খুলনায় আসছেন। ওই দিন নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় বক্তৃতা করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে বিনিয়োগবান্ধব খুলনা গড়ে তুলতে বিভিন্ন দাবি আদায়ে সরব হচ্ছেন উন্নয়নকর্মীরা। এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপনের জন্য আগামীকাল ১১ নভেম্বর খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। সংগঠনের সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, ২০১৮ সালের পর প্রধানমন্ত্রী ১৩ নভেম্বর খুলনায় আসছেন। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অসংখ্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। বিশেষ করে চ্যালেঞ্জের মুখে পদ্মা সেতু ও পদ্মা রেল সেতু চালু করেছেন। যা দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে খুলনা-মোংলা রেললাইন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগীয় স্টেডিয়াম, আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে খুলনায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে বিমানবন্দর চালু করা জরুরি। বিমানবন্দর নির্মাণ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেস হাইওয়ে হয়েছে। এখন খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত সড়ক ফোর লেন করা, খুলনা-যশোর রাস্তা ছয় লেন ও খুলনা-যশোর-দর্শনা পর্যন্ত ডাবল রেললাইন চালু করতে হবে।

উন্নয়নকর্মীরা বলেন, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে আমরা এই অঞ্চলের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চাই। এ ছাড়া নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে জ্বালানি একটা বড় বিষয়। খুলনার আড়ংঘাটা পর্যন্ত পাইপলাইন এসেছে। এই পাইপলাইনে অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহ করতে হবে। এতে এই অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়বে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এদিকে খালিশপুরে বন্ধ কলকারখানার দু-একটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু হচ্ছে। বাকি মিলগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীনে দ্রুত চালু করতে হবে। সেখানে দক্ষ শ্রমিকদের কাজে লাগাতে হবে। খুলনায় প্রধানমন্ত্রী ১৩ নভেম্বরের জনসভায় এসব বিষয়ে ঘোষণা দেবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর