নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার বা বাতিলের দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের বেশির ভাগই কোচিং বাণিজ্যে জড়িত। তারা যে দাবিগুলো করছেন তা একেবারেই যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার বা বাতিলের ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ স্কুল পর্যায়ে নোট ও গাইড বিক্রির সঙ্গে জড়িত। দুঃখজনক হলেও সত্য, এর সঙ্গে কিছু শিক্ষকও জড়িত। আন্দোলনকারীদের মূল উদ্দেশ্য নিজেদের কোচিং বাণিজ্য টিকিয়ে রাখা। শিক্ষায় এত বড় একটি রূপান্তরের ক্ষেত্রে এক বছর বেশি সময় নয়। এতে অভিভাবকরা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হবেন। শিক্ষকরা ক্রমাগত প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। নতুন শিক্ষাক্রমের বইগুলো এখনো পরীক্ষামূলক সংস্করণ চলছে, কারণ ক্রমাগত এর পরিমার্জন হচ্ছে কিন্তু সিস্টেম পরিবর্তন হবে না। মন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ সালের অনেক গবেষণা ও সিদ্ধান্তের পর আজকের এ শিক্ষাক্রম। এ শিক্ষাক্রমের পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। এ শিক্ষাক্রম প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।