রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মরণফাঁদ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পোস্তগোলা সড়ক

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

মরণফাঁদ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পোস্তগোলা সড়ক

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যেতে প্রধান সড়ক হিসেবে এক সময় ব্যবহার হতো ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ (পাগলা) পুরাতন সড়ক। কিন্তু কালের আবর্তে প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও অযত্ন, অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায় যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে সড়কটি। সড়কের দুই পাশে অবৈধ দখল ও নানা স্থানে অসংখ্য ভাঙাচোরা  ও অগণিত বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে সড়কটি। এতে এ সড়ক দিয়ে ঢাকা যেতে ১৫ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। জীবিকার তাগিদে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা পাগলা হয়ে পোস্তগোলা, জুরাইন ও যাত্রাবাড়ীতে গিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের চাষাঢ়া থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত অংশ বর্তমানে দুই লেন বা সাত মিটার (প্রায় ২৩ ফুট) রয়েছে। এটি ছয় লেন বা একুশ মিটারে (প্রায় ৬৯ ফুট) উন্নীত করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল ২০১৯ সালে। পরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জরিপ বা সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক কর্মপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই রাস্তার কাজ শুরু হতে পারে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রাথমিক প্রতিফল দেখা যায়নি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির বিভিন্ন মোড়ে বাস, টেম্পো, সিএনজি-ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড বানিয়ে সড়কটি সরু করে ফেলা হয়েছে। পুরো সড়কজুড়েই আছে অসংখ্য বড় বড় গর্ত। রাস্তার পাশেই রয়েছে অসংখ্য ডাস্টবিন। অথচ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই কয়েক লাখ শ্রমিককে যাতায়াত করতে হয়।

শিল্পমালিকরা জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটি সংলগ্ন শাসনগাঁওয়ের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় আছে সহস্রাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান। যাতে অন্তত ৩ লাখ শ্রমিক এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লা আল নোমান জানান, বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা ডিভিশন দুটি পার্টেরই রয়েছে। তবে আমি একটি প্রকল্পের    কথা শুনেছি। তিনি আরও জানান, ঢাকা   ডিভিশনের অফিস বনানীতে আছে। ওখানে আলাপ করে দেখতে পারেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর