রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রী রূপসাপারে যাচ্ছেন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

প্রায় পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল (সোমবার) খুলনায় আসছেন। তিনি নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে রূপসাপারের শহর খুলনায়। এরই মধ্যে সার্কিট হাউস ময়দানে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে জনসভা মঞ্চ তৈরি হয়েছে। ১২০ ফুট দীর্র্ঘ ও ৪০ ফুট প্রস্থের নৌকা মঞ্চের ওপরে পদ্মা সেতুর অবয়ব থাকছে। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। বিভিন্ন স্থানে টানানো বিলবোর্ডে সরকারের সাফল্যসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সড়কদ্বীপ ও বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জায় উৎসবে রঙিন হয়ে উঠেছে রাতের খুলনা। জনসভা সফল করতে সাংগঠনিক তৎপরতায় উজ্জীবিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মূল সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা, চায়ের দোকান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর যেসব পথ দিয়ে যাবে সেখানে সড়কে প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ করা হয়েছে।

জনসভাস্থলে প্রধানমন্ত্রী নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ভবন নির্মাণকাজসহ ২২টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।

খুলনায় বিমানবন্দর চালু, খুলনা সিটির সঙ্গে রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলাকে যুক্ত করতে রূপসা নদীর তলদেশে টানেল, পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহসহ ১৮টি দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন উন্নয়নকর্মীরা।

গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, খুলনা শহর অপরিকল্পিত, লম্বালম্বিভাবে রূপসা থেকে ফুলতলা পর্যন্ত গড়ে উঠছে। কিন্তু আশপাশের রূপসা, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, দিঘলিয়া উপজেলা উন্নয়নবঞ্চিত রয়ে গেছে। ফলে রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়াকে খুলনা শহরের সঙ্গে সরাসরি সংযোগের জন্য টানেল নির্মাণ করতে হবে। এতে শহরকেন্দ্রিক সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুবিধামতো স্থানে শিল্প-কলকারখানা স্থাপন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

এ ছাড়া খুলনা-মোংলা-ভাঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, খুলনা-যশোর মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত, অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন, পাটকলসহ বন্ধ মিল-কলকারখানা চালুর দাবি জানানো হয়।

খুলনা নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১৩ নভেম্বর খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। খুলনা, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা থেকে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ জনসভায় তার বক্তৃতা শুনতে আসবেন। জনসভাস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হবে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের এ জনসভা হবে স্মরণকালের ঐতিহাসিক সেরা জনসভা। তিনি নির্বাচনকেন্দ্রিক নির্দেশনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরবেন ও আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাবেন।

 

সর্বশেষ খবর