সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফাইল চলে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে

প্রশাসনের অনুমোদন নিতে পদে পদে ভোগান্তি

ইবি প্রতিনিধি

ফাইল চলে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন দফতর ও বিভাগে কাজের জন্য প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হয়। এ জন্য অনুমতি চেয়ে ফাইল প্রশাসন বরাবর জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ ফাইল যেন চলে কচ্ছপ গতিতে। আবার ফাইল হারিয়ে ফেলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। কর্মকর্তাদের গাফিলতির ফলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর দফতর প্রধানসহ অন্যান্য অফিস প্রধানরা। বারবার অভিযোগ করলেও উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো কাজ অনুমোদনের জন্য প্রশাসন বরাবর ফাইল জমা দিতে হয়। ফাইল অনুমোদন হতে সময় লাগে ৫-৬ মাস। আবার অনেক ফাইল হারিয়ে ফেলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। পুনরায় নতুন করে ফাইল জমা দিতে হয়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন তারা। এ ছাড়া ফাইল অনুমোদন হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সিণ্ণকেট কাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব সিণ্ণকেটের সম্মতিতে ফাইল স্বাক্ষর হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। দফতর প্রধানরা বলেন, আমরা সময়মতো ফাইল জমা দেই। অনুমোদন করতে ঘাম ঝরে যায়। এ ছাড়া ফাইল জমা দেওয়ার পরে কয়েকদিন পর খোঁজ নিতে গেলে তা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। একটি কাজের ফাইল অনুমোদনের জন্যই একই ফাইল ৩-৪ বার দেওয়া লাগে। সময়মতো কাজ না হওয়ার কারণে কাজে বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ও পিছিয়ে যাচ্ছে। কয়েকজন বিভাগের সভাপতির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভাগের নানা কাজে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। পরীক্ষা বা রিটেক পরীক্ষাসহ বিভাগের অন্যান্য কাজে প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন হয়। অনুমতি নিতে ফাইল জমা দেন তারা। কিন্তু প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঠিকমতো কাজ করেন না। ফলে ফাইল অনুমোদন হতে দেরি হয়। ফলে বিভাগের বিভিন্ন কাজ পিছিয়ে যায়। সম্প্রতি ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক মিলন কুমার ঘোষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেমিনারে অংশ নিতে ৪-৭ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। সেই ছুটির অনুমোদন হয় আবেদনে উল্লিখিত নির্ধারিত তারিখের ২০ দিন পর। পরবর্তীতে তিনি ছুটি অনর্থক দাবি করে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তিনি। ভুক্তভোগী শিক্ষক মিলন কুমার ঘোষ বলেন, ‘ছুটিটা আমার লাগবে না। এ জন্য বাতিলের জন্য আবেদন করেছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর