শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
সোহেল চৌধুরী হত্যা

আশিষ চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ বছর আগে খুন হওয়া চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ মামলা ছয় মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় ও সেলিম আশরাফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। এদিকে নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা ছয় মাসে বিচারকাজ শেষ না হওয়ার ব্যাখ্যায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বলেছেন, ২৫ বছর আগের মামলা হওয়ায় প্রসিকিউশন সাক্ষী হাজির করতে পারছে না। এক্ষেত্রে প্রসিকিউশনের ব্যর্থতা রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও ছয় মাসে বিচারকাজ শেষ না করায় বিচারককে শোকজ করেন আপিল বিভাগ।

এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ সময় পর্যন্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরীর জামিন স্থগিত করেন আদালত। তার আগে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন নেন আসামি আশিষ রায় চৌধুরী। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রামস ক্লাবের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাই কোর্টে রিট করেন।

রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। তবে রুল নিষ্পত্তি করে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন হাই কোর্ট। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন আদালত। এতে মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে আইনত আর কোনো বাধা থাকে না।

 

 

সর্বশেষ খবর