বদলে গেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ১০তলা বিশিষ্ট ছয়টি আবাসিক হল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। ওইদিন অনেক আগে নির্মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে নতুন হলগুলোতে ডিসেম্বরে শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। হলগুলো চালু হলে শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন সংকট নিরসন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের তথ্য মতে, নবনির্মিত হলগুলোসহ জাবিতে বর্তমানে ২১টি আবাসিক হল রয়েছে। এতে সর্বমোট ১৪ হাজার ৩৪৬টি আসন রয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ১২ হাজার ৬৩৮ জন। ফলে নতুন হল চালুর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক রূপ লাভ করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে নতুন হল চালু হলেও আবাসন সংকট কাটবে কি না সন্দেহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের কারণে আবাসিক সংকট তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্রত্ব শেষ হলেও শিক্ষার্থীদের অবৈধভাবে হলে অবস্থান করাকে দায়ী করছেন তারা। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, নতুন হল চালুর মাধ্যমে জাবিতে আর কোনো আবাসন সংকট থাকবে না। বদলে যাওয়ায় এখানে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা ও গবেষণার অত্যাধুনিক সব সুবিধা পাবে। রাজনৈতিক কোনো সংগঠনকে হলে আবাসিক সংকট তৈরি করতে দেওয়া হবে না।