শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
বিএনপির রাজনীতি

সিলেটের মাঠে নেই বড় নেতারা

কেন্দ্রীয় পদবিধারীদের দেখা মেলে না, মিছিলের ছবি তুলেই আত্মগোপনে শীর্ষনেতারা

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটের মাঠে নেই বড় নেতারা

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে সিলেটের রাজপথে দেখা মিলছে না ‘বড় নেতাদের’। রাজপথে কেন্দ্রীয় এবং জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ পদবিধারী নেতাদের খুঁজে পাচ্ছেন না তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মাঝেমধ্যে শীর্ষনেতাদের কেউ কেউ কয়েক সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিলে অংশ নিয়ে ছবি তুলে আত্মগোপনে চলে যান। এ নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। দলের বৃহৎ স্বার্থে এ নিয়ে কেউ মুখ না খুললেও বিষয়টি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অবগত করেছেন তারা। বিএনপির চলমান আন্দোলনে পুরো দেশ উত্তপ্ত। কিন্তু অনেকটা বিপরীত চিত্র সিলেটে। অবরোধ ও হরতাল ডেকে রাজপথে দেখা মিলছে না নেতা-কর্মীদের। প্রথম দফা অবরোধের সময় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে বিএনপির মধ্যম সারি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঠে দেখা যায়। নগরের ভিতরেও তারা সক্রিয় ছিলেন। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। আন্দোলন করতে গিয়ে দিলু আহমদ জিলু নামের যুবদলের এক নেতা নিহত হন। কিন্তু আন্দোলনের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় পদবিধারী এবং সিলেট বিএনপির শীর্ষনেতাদের রাজপথে পাননি তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, সিলেটে বিএনপি চেয়ারপারসনের চারজন উপদেষ্টা রয়েছেন। এই চার উপদেষ্টা হচ্ছেন খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, আরিফুল হক চৌধুরী, তাহসিনা রুশদির লুনা ও ড. এনামুল হক। চলমান আন্দালনে এই চারজনের কাউকেই রাজপথে দেখা যায়নি। পিকেটিংকালে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত যুবদল নেতা দিলু আহমদ জিলুর মৃত্যুর পর পরিবারকে সান্ত¡না দিতে তার বাড়িতে যান খন্দকার মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক। আর ওসমানী হাসপাতালে জিলুর লাশ গ্রহণের সময় সেখানে দেখা গেছে আরিফুল হক চৌধুরীকে। এ ছাড়া রাজপথে তাদের কাউকেই দেখা যায়নি।  উপদেষ্টা ছাড়াও কেন্দ্রীয় সহ ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের শামীম, ডা. শাহরীয়ার হোসেন চৌধুরী ও হাদিয়া চৌধুরী মুন্নিরও দেখা মেলেনি আন্দোলন কর্মসূচিতে। কেন্দ্রীয় নেতাদের মতো রাজপথে খুব একটা দেখা মিলছে না জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগরের সভাপতি নাসিম হোসেইন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর। কাইয়ূম চৌধুরী শুরুতে দু-এক দিন মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে। আর এমরান আহমদ চৌধুরী মাঝেমধ্যে কর্মসূচিতে স্বল্প সময়ের জন্য অংশ নিলেও বেশির ভাগ সময় কাটছে আইনপেশায়। মহানগরের সভাপতি নাসিম হোসাইনের অবস্থাও জেলার কাইয়ূম চৌধুরীর মতো। মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী মাঝেমধ্যে ৮-১০ জন নেতা-কর্মী নিয়ে ঝটিকা মিছিল করে গণমাধ্যমে ছবি পাঠিয়ে নিজের সক্রিয়তার জানান দিচ্ছেন। তবে তার মিছিলের স্থায়িত্ব এক মিনিটের বেশি নয় বলে দলের নেতা-কর্মীরাই জানিয়েছেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর