শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শুরুতেই সেশনজটে জাবি শিক্ষার্থীরা

শুরু করতে পারেনি প্রথমবর্ষের ক্লাস

রুবেল হোসাইন, জাবি

মোট ৩৪টি আসন ফাঁকা রেখেই ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম গত ১৮ সেপ্টেম্বর শেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কর্তৃপক্ষ। এর আগে, গত ১৮ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪ মাস পরও প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করতে পারেনি প্রশাসন। এতে ক্লাস শুরুর আগেই সেশনজটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, তুলনামূলক দেরিতে হলেও দেশের অন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় কাছাকাছি সময়ে জাবিতে প্রতি বছর স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করার ক্ষেত্রে জাবি প্রতিবারই পিছিয়ে থাকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৬ আগস্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ সেপ্টেম্বর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ অক্টোবর থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে জাবিতে কত তারিখ থেকে ক্লাস শুরু হবে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বিগত বছরগুলোতেও একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয়। সে সময়, জাবিতে একই শিক্ষাবর্ষের ক্লাস ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। এর আগে, করোনার কারণ দেখিয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রায় ২ মাস পরে শুরু করে জাবি কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হলেও জাবিতে শুরু হয় ১০ মার্চ। এতে স্নাতক প্রথম বর্ষের শ্রেণি কার্যক্রমে নিয়ম করেই পিছিয়ে পড়ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে তীব্র সেশনজটে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন ভর্তি কার্যক্রম ও ক্লাস শুরুর ক্ষেত্রে দেরি করাকে নিয়মে পরিণত করেছে। তবে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দেওয়াজনিত সমস্যার কারণে শ্রেণি কার্যক্রমে দেরি হয়ে থাকে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। যদিও কখনো বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অপেক্ষাকৃত দেরিতে ভর্তি পরীক্ষা হওয়া এবং আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ক্লাস শুরু করতে দেরি হচ্ছে। আশা করছি, চলতি মাসের শেষে আমরা প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করতে পারব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর