শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাম জোটের হরতালে হামলা-আটকের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে গতকাল দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। হরতালের পিকেটিং ও মিছিল চলাকালে বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার এবং পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার বাহিনীর হামলার অভিযোগ করেছেন জোট নেতারা। এর প্রতিবাদে আগামী ১৯ নভেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ঘোষণা করেছে বাম জোট। এ ছাড়া তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সিপিবি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির উদ্যোগে আজ বিকালে পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হওয়ার কথা জানিয়েছে দলটি। এদিকে তফসিল বাতিলের দাবিতে আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতালের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। হরতালের সমর্থনে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল-সমাবেশ করেছে মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। বেলা ১১টায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কার্যালয়ের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের একটি মিছিল দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে কালভার্ট রোড, বিজয়নগর পানির পাম্প, পল্টন মোড় হয়ে প্রেস ক্লাবে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশ থেকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একতরফা নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দেন মঞ্চের নেতারা।

গতকাল সকাল থেকেই বাম জোটের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় মিছিল করতে দেখা যায়। সন্ধ্যায় বাম জোটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সকাল থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার রাস্তায় বাম জোটের নেতা-কর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং করে। ঢাকায় সকাল থেকে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা, বিজয়নগর, গুলিস্তান, প্রেস ক্লাব এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং হয়। হরতালের পিকেটিং ও মিছিল চলাকালে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার বাহিনীরা হামলা চালায়। আগের রাতে হরতালের সমর্থনে প্রচার মিছিলে পুলিশ ও সরকারি দলের ক্যাডারদের হামলায় ফেনী ও কিশোরগঞ্জে কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল হরতালের সমর্থনে পিকেটিংয়ে নামলে বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক, রংপুর জেলা আহ্বায়ক আবদুল কুদ্দুসকে পুলিশ গ্রেফতার করে। নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সমাপনী সমাবেশে নির্বাচন কমিশনকে আওয়ামী লীগের তল্পিবাহক আখ্যা দিয়ে জোট নেতারা বলেন, একতরফা আরেকটি নির্বাচন দেশকে আরও গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। রাজনৈতিক সংকট অর্থনৈতিক সংকটকেও ত্বরান্বিত করবে। এর দায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আগামী রবিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ঘোষণা করা হয় সমাবেশ থেকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর