অবরোধ আন্দোলনে চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাদের মাঠে নামাতে কঠোর হচ্ছে দলের হাইকমান্ড। আন্দোলনের সামনের দিনগুলোতে মাঠে থাকতে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতি ছয়টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র প্রদত্ত এ নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কেন্দ্রীয় এক সিনিয়র নেতা বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর মরণ কামড় দিতে চায় বিএনপি। তাই দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে রবিবার থেকে মাঠে নামার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ এ নির্দেশনা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো। পঞ্চম দফা অবরোধ ও হরতাল পালন করে এলেও চট্টগ্রামে এসব কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন সিনিয়র এবং মধ্যম সারির নেতারা। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল ও কিছু কিছু জায়গায় পিকেটিং করলেও আত্মগোপনে ছিলেন সামনের সারির নেতারা। আন্দোলন বিমুখ বিএনপি নেতাদের সক্রিয় করতে উদ্যোগ নেয় বিএনপির হাইকমান্ড। এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চট্টগ্রাম বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতি ছয় দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রতিটি ইউনিটের পদধারী নেতাদের হরতাল-অবরোধে সক্রিয় অংশগ্রহণ, নিজ নিজ থানা এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং করা, মিছিল ও পিকেটিংয়ের কমপক্ষে পাঁচ মিনিটের ভিডিও ধারণ করে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো। ১০ থেকে ১৫ কর্মীদের দিয়ে ঝটিকা মিছিল না করে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতা-কর্মী দিয়ে মিছিল ও পিকেটিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া নির্দেশনায় বলা হয়, প্রত্যেক নেতা-কর্মীদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিনিয়র নেতাদের আত্মগোপন নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে যতটুকু সম্ভব গ্রেফতার এড়ানো। তাই সিনিয়র নেতারা আত্মগোপনে ছিলেন। এ কৌশলে অনেকটা সফল। এখন দলীয় নির্দেশনা এসেছে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এখন সবাই এক যোগে মাঠে নামবে।