রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মৃত্যুকূপ চট্টগ্রাম- খাগড়াছড়ি সড়ক

দুই মাসে ঝরেছে ১৬ প্রাণ

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের হাটহাজারী মীরের হাট থেকে খাগড়াছড়ি সড়কের নাজিরহাট মোড় পর্যন্ত অংশটি যেন মৃত্যুকূপ। প্রায় প্রতি মাসে এখানে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরছে প্রাণ। প্রশাসন ও চালকদের নানা পদক্ষেপে কমছে মৃত্যুর মিছিল। এক সপ্তাহে পৃথক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে প্রায় ১০ জনের। আর এসব দুর্ঘটনার জন্য অদক্ষ চালক ও বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক মূল কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান বলেন, আগে এ সড়কটি ছিল দুই লাইনের, এখন সেটা তিন লাইনে উন্নত করা হয়েছে। যার কারণে গাড়ির গতিও বেড়েছে, গাড়িও বেড়েছে। কিন্তু বেশির ভাগই দুর্ঘটনা ঘটছে ছোট গাড়ির কারণে। জিপ, সিএনজি ছোট ছোট এসব গাড়ির চালকরা যেমন অদক্ষ, তেমন তাদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কেও ধারণা নেই। আবার অনেক চালকের তো লাইসেন্সও নেই। আর এসব চালকরা ৪ হাজার সিসির বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিতে গিয়ে বা ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ থেকে উদ্যোগ নিতে হবে কোনো রুটে কত গাড়ি চলবে তা নির্ধারণ করে দিয়ে এবং তা সঠিকভাবে তদারকি করতে হবে। নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, রোড ডিভাইডার না থাকার কারণে চালকরা গাড়ির গতি এমনভাবে বাড়ায়, যাতে প্রয়োজনের সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আবার অনেক সময় ওভারটেক করতে গিয়েও দুর্ঘটনা ঘটছে। ওভারটেক করার সময় দ্রুতগতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রোড ডিভাইডার অত্যন্ত জরুরি এবং চালকদেরও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে গাড়ি চালাতে হবে। পরিবহন চালক মালিক সমিতির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে হাটহাজারী খাগড়াছড়ি রাঙামাটি মহাসড়কে বৈধ যানবাহন চেয়ে অবৈধ যানবাহন বেশি। অবৈধ যানবাহনের জন্য হাইওয়ে পুলিশকে টাকা দিয়ে রাস্তায় নামে তারা। হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে সিএনজি, অটোরিকশা ও নানা পরিবহনগুলো মহাসড়কে চলাচল করে। এ কারণে ঘটছে প্রাণহানির দুর্ঘটনা। জানা যায়, চলতি মাসের ৭ নভেম্বর চারিয়া এলাকায় একটি সিএনজি করে ফটিকছড়ি যাওয়ার পথে একই পরিবারের সাতজন নিহত হয়েছেন। এরপর ১০ নভেম্বর একজন ও ১৬ নভেস্বর একজন নিহত হয়েছেন। এর আগের মাস অক্টোবরে সাতজন নিহত হয়েছেন। দুই মাসে চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি মহাসড়কের নাজিরজহাট হাইওয়ে ও রাউজান হাইওয়ে এলাকায় ১৬ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর