মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

খুলনায় প্রার্থীর ছড়াছড়ি

ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান তিন ডজনের বেশি নেতা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় প্রার্থীর ছড়াছড়ি

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা গেছে। ১৮ নভেম্বর থেকে গতকাল পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিন ডজনের বেশি নেতা। এর মধ্যে দলের শীর্ষ হেভিওয়েট নেতার পাশাপাশি মধ্যম সারির নেতা, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাবেক এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, প্রবাসী ও সাবেক সচিব নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে চান। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলে হাইব্রিড নেতাদের উপস্থিতি, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন, দলকে সংগঠিত করার দক্ষ নেতার সংকট, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা তুলনামূলক বেড়েছে। জানা যায়, মর্যাদার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের একক মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও বর্তমান সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। এর বাইরে খুলনা-১, ৩, ৪, ৫ ও ৬ আসনে হেভিওয়েট নেতাদের পাশাপাশি মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে খুলনা-৬ আসনে সবচেয়ে বেশি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৩ জন। এ ছাড়া ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে খুলনা-৩ ও ৫ আসনে পরপর তিনবারের সংসদ সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান ও নারায়ণ চন্দ্র চন্দের আসনেও একাধিক তরুণ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। আগ্রহী প্রার্থীদের নিয়ে এরই মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণের কথা বলছেন তৃণমূলের কর্মীরা। কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রি বলেন, বিগত দিনে এখানকার জনপ্রতিনিধিরা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় এবার প্রার্থীর ছড়াছড়ি। এলাকার উন্নয়নে পর্যাপ্ত সরকারি বরাদ্দ এলেও দৃশ্যমান কাজ হয়নি। নানা কারণে দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে। ফলে এলাকার উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন ও দলের বিভক্তি দূর করে যিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবেন এমন প্রার্থী চান তৃণমূল কর্মীরা।

তেরখাদা উপজেলা মধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিকদার আকতার হোসেন বলেন, দলে দুর্দিনে যারা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্রয়ে কিছু হাইব্রিড নেতার উত্থানে ক্ষোভ থেকে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা চাই যারা ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করবেন, বিপদে পাশে দাঁড়াবেন, আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে থাকবেন, যার নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ আসবে এমন প্রার্থীকে মূল্যায়িত হোক।

তবে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক খায়রুল আলম মনে করেন, আওয়ামী লীগ টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকায় সাবেক ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও মধ্যম সারির অনেক নেতাই এখন পরিণত বয়সে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে যোগ্য মনে করছেন। ফলে তারাও মনোনয়ন যুদ্ধে নেমেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর