মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আট দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেছেন। এ দেশের দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ভোটদানে আগ্রহী। এ পরিপ্রেক্ষিতে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনকালীন সরকারের কাছে আট দফা দাবি জানাচ্ছি। দাবিগুলো হলো-

১. দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে অধিকতর শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের তাগিদে নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যথাযথ ভূমিকা পালন করার জোর দাবি জানাচ্ছি। ২. ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে, প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনোরকম বাধার সম্মুখীন না হয় এবং নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণের সমান সুযোগ পায় তার জন্য নির্বাচন কমিশনকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। ৩. নির্বাচনি প্রচারণায় ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হোক। ৪. নির্বাচনের পূর্বাপর সময় ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলাজনিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের তাগিদে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ, আনসার ইত্যাদি মোতায়েনের পাশাপাশি র?্যাব, বিজিবির নিয়মিত টহলদানের ব্যবস্থা করা হোক এবং নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য একটি ‘মনিটরিং সেল’ গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি। ৫. নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংখ্যালঘু নিরাপত্তায় গৃহীত যাবতীয় পদক্ষেপের বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতৃবৃন্দ, নির্বাচনের প্রার্থীসহ প্রার্থীর সমর্থক সবাইকে সম্যকভাবে অবহিত করা হোক। ৬. সব ধর্মীয় উপাসনালয় যথা মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা নির্বাচনি প্রচারকাজে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হোক। ৭. ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, বিবৃতি, মিথ্যা গুজব প্রচার বা এ ধরনের যাবতীয় প্রচারণা বিশেষ ক্ষমতা আইনের ক্ষতিকর কার্য হিসেবে অপরাধ গণ্যে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। একই সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে দায়ী ব্যক্তিদের প্রার্থিতা বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। ৮. নির্বাচনের দুই দিন আগে থেকে পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘু এলাকাগুলোয় বিজিবি, র‌্যাবের টহলদানের ব্যবস্থা করা হোক।

নির্বাচন কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুরা কোনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা নিরাপত্তার শঙ্কায় ভুগছি। এজন্যই আজ আমাদের এ সংবাদ সম্মেলন।

অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রঞ্জন কর্মকার, সুনন্দ্র প্রিয়, সঞ্জীব দ্রং, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর