বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভোটের মাঠে চমক সাবেক ছাত্রনেতারা

খুলনায় এক ডজনের বেশি ছাত্রলীগ নেতা মনোনয়ন যুদ্ধে

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

ভোটের মাঠে চমক সাবেক ছাত্রনেতারা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারের চমক সাবেক ছাত্রনেতারা। আওয়ামী লীগের একঝাঁক সাবেক ছাত্রনেতা এবার মনোনয়ন যুদ্ধে লড়ছেন। অনেকে এখনই মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর আদাজল খেয়ে মাঠে নামবেন তারা। তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতাদের প্রতি নজর ভোটারদের। জানা যায়, খুলনা-৫ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ও খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ১৯৮৯ সালে মহানগর ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক, ১৯৯৩ সালে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। খুলনা-৪ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু ১৯৭৭ সালে বিএল কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৯৭৯ সালে কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও ১৯৮০ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি প্রার্থী ছিলেন।

একই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান জামাল জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। খুলনা-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী প্রেম কুমার মন্ডল ২০০৫-২০০৭ মেয়াদে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

খুলনা-৩ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী শেখ ফারুক হাসান হিটলু মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুন্দরবন কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। খুলনা-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাধারণ নেতা-কর্মীরা পরিবর্তন চায়। আমাদের ঘিরেই তাদের আস্থার ঠিকানা তৈরি হয়েছে। খুলনা-৬ আসনে প্রেম কুমার মন্ডল বলেন, মানুষের আস্থা থাকলে এবং শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দকৃত বাজেট বৃদ্ধি ও শতভাগ সততার সঙ্গে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।

খুলনা-৪ আসনে সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চুর দাবি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন বিভিন্ন উন্নয়ন ও সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায় এলাকায় তার একচেটিয়া সমর্থন রয়েছে। দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি থাকাকালে সেবা প্রদানের বিনিময়ে কোনো বেনিফিট নেইনি। এর কারণে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে, ভালোবাসে। এস এম কামরুজ্জামান জামাল বলেন, আমি এর আগেও তিনবার মনোনয়ন চেয়েছি। জননেত্রী তৃণমূলে সক্রিয় সংগ্রামী কর্মীদের এবার মূল্যায়ন করবেন এটাই আমার বিশ্বাস।

আর মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকেই দুঃসময়ে মানুষের পাশে থাকার শিক্ষা পেয়েছি। আমি আমার রাজনীতির পুরো সময়টাতে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছি। জনপ্রিয়তা যাচাই করলে মানুষের পক্ষে কথা বলার মানুষ বাছাই করলে মূল্যায়িত হব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর