রংপুরে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এমপি হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীর যেন ছড়াছড়ি। রংপুরের আট উপজেলায় রয়েছে ছয়টি সংসদীয় এলাকা। এর মধ্যে সাত উপজেলায় আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান। ওই সাত উপজেলার মধ্যে ছয়জন চেয়ারম্যান এবার নৌকার টিকিট পেতে মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। পীরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিলে ওই উপজেলার চেয়ারম্যানও এমপি হওয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। নৌকার টিকিট পেতে দলীয় মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন এ পর্যন্ত ৩৪ জন। যেসব উপজেলা চেয়ারম্যান মনোনয়ন আবেদনপত্র নিয়েছেন তাঁরা হলেন গঙ্গাচড়ার রুহুল আমিন, তারাগঞ্জের আনিছুর রহমান লিটন, সদরের নাসিমা জামান ববি, কাউনিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, মিঠাপুকুরের জাকির হোসেন সরকার ও পীরগঞ্জের নূর মোহাম্মদ মন্ডল। জানা গেছে, রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী হওয়ার জন্য ফরম নিয়েছেন ছয়জন। তারা রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য রবিউল ইসলাম রেজভি, সাবেক ছাত্রনেতা কামাল মো. নাসের, গজঘণ্টা ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী। জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে রংপুর-১ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশায় চারজন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাফিউর রহমান রাফি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সুমনা আকতার লিলি, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, তারাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন।

রংপুর-৩ (সদর) আসনে সবচেয়ে বেশি ১০ জন মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষারকান্তি মন্ডল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিমা জামান ববি, মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আতাউর জামান বাবু, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী বিপ্লব, রংপুরের পিপি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য নবীউল্লাহ পান্না।

রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে এবারে নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি। মিঠাপুকুর আসনে নৌকার মাঝি হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেক রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা, উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার।

রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসন এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্বশুরবাড়ি। সেজন্য ধারণা করা হচ্ছে শেষতক এ আসনের এমপি এবং মনোনয়ন দৌড়ে চূড়ান্ত জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আবারও মনোনীত হয়ে নির্বাচন করবেন। তবে এ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মনোনয়নপত্র তুলেছেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বকুল। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল।