শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রংপুরে আসন বাড়াতে চায় জাপা

নতুন কৌশলে মাঠে নেতা-কর্মীরা, ছাড় দেবে না আওয়ামী লীগও

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুরে আসন বাড়াতে চায় জাপা

বৃহত্তর রংপুরের ২২টি আসনের মধ্যে এখন ছয়টিতে সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জোটমুক্ত থাকার ঘোষণা দেওয়া জাতীয় পার্টি (জাপা) রংপুর অঞ্চলে কতটা সুবিধা করতে পারবে এ নিয়ে চলছে জল্পনা আর বিশ্লেষণ। অনেকের ধারণা : এবার রংপুরে জাপার আসন বাড়বে। আওয়ামী লীগ সমর্থকরা অবশ্য এই সমীকরণ মানতে নারাজ। ’৯০ দশকে রংপুরের ২২টি আসনই জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। বৃহত্তর রংপুরের পাঁচ জেলার ২২টি আসনের অধিকাংশ আসনই জাপা পাবে- এ রকম আশা করেন দলের নেতা-কর্মীরা। সেই সঙ্গে এই ভাবনাও আছে- আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে কতটুকু কুলিয়ে উঠতে পারবে জাপা প্রার্থীরা। রংপুর জেলায় ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের রয়েছে চারটি এবং জাতীয় পার্টির দুটি। এর মধ্যে রংপুর সদর আসনে জাপা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ এমপি। এই আসনটিতেও এবার জাপাকে মুখোমুখি হতে হবে আওয়ামী লীগের। রংপুর-১ গঙ্গাচড়া আসনের এমপি জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব দল থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত মসিউর রহমান রাঙ্গা। এই আসনে আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে না। ফলত এখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হবে জাপা প্রার্থীকে। রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এখানে আওয়ামী লীগকে জাপা ছাড় দিতে পারে মনে করা হলেও প্রকৃতপক্ষে জাপা-আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাসই মিলছে। রংপুর-৪ আসনের বর্তমান এমপি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রয়েছেন। বিগত নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। এখানেও জাপার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। রংপুর-৫ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের আশিকুর রহমান। তবে এই অসনটিতে এবার ছাড় দিতে নারাজ জাতীয় পার্টি। নীলফামারীর চারটি আসনের মধ্যে তিনটিই আওয়ামী লীগের। একটি জাতীয় পার্টির। আওয়ামী লীগের তিনটি আসনে মনোনীত প্রার্থী দিতে বদ্ধপরিকর জাপা নেতা-কর্মীরা। জাতীয় পার্টি এসব আসনে নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হবে। লালমনিরহাটে তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি আওয়ামী লীগের এমপি। লালমনিরহাট-১ আসনটি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের। এখানে জাপা প্রার্থীকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হবে। গাইবান্ধায় পাঁচটি আসন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হাতে রয়েছে সদ্য নির্বাচন হওয়া ফুলছড়িসহ চারটি আসন। একটি আসন জাপার। এই পাঁচটি আসন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির রয়েছে মানসিক দ্বন্দ্ব। কুড়িগ্রাম জেলায় চারটি আসনের একটি জাতীয় পার্টির। আওয়ামী লীগের তিনটি।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এবার কুড়িগ্রামের একটি আসনও ছাড় দিতে চাচ্ছেন না। তবে বিএনপি ভোটে না এলে সমীকরণ অন্য রকম হবে।

রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব হাজি আবদুর রাজ্জাক বলেন, রংপুরে দল এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। আসন্ন নির্বাচনে ২২টি আসনেই জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে জাপা।

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাসেম বলেন, আওয়ামী লীগ আগামীতে যে কোনো নির্বাচনে জোরদার ভূমিকা রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর