সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’

খুদে হাফেজদের মিলনমেলা চট্টগ্রামে

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

খুদে হাফেজদের মিলনমেলা চট্টগ্রামে

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় পবিত্র কুরআনে হাফেজদের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’র চট্টগ্রাম জেলার অডিশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল নগরীর বাকলিয়া থানার নেয়ামত নূর জামে মসজিদ ও ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রে এ অডিশন হয়। এ সময় স্থানটি বৃহত্তর চট্টগ্রামের খুদে কুরআনে হাফেজদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে খুদে হাফেজরা ছুটে আসে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। চারটি বুথে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তারা রেজিস্ট্রেশন করে। প্রতিযোগিতায় ২৬৭ জন হাফেজ অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্য থেকে ১১ জনকে বাছাই করা হয়েছে। এই ১১ জন প্রতিযোগী ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবে। এ পর্যায়ে বিজয়ী হাফেজরা অংশ নেবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়।

প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসেছিল কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহার আনোয়ারুল উলুম আদর্শ হেফজ মাদরাসার শিক্ষার্থী ফরহাদুল ইসলাম। মাত্র ১০ মাসে পবিত্র কুরআন হেফজ করেছে ১০ বছর বয়সী এই কিশোর। কক্সবাজারের হেদায়েতুন নূর হিফজুল কোরআন সেন্টারের আসা আবদুল্লাহ আল ফাহিম ১০৫ দিনে কুরআনে হাফেজ হয়েছে। মাত্র আট বছর চার মাসে হাফেজ হওয়া ফাহিমের বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায়। বাবা সলিম উল্লাহ জাহাঙ্গীর উখিয়ার একটি মসজিদের ইমাম। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড় ফাহিম। প্রতিযোগিতার বিচারক বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেম বলেন, কুরআনের নূর আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আয়োজন চলছে। প্রথমবারের চেয়ে এবার সারা দেশে অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। বসুন্ধরা গ্রুপের এই প্রতিযোগিতার কারণে কুরআনের পাখিদের সহিহভাবে শেখার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে। সারা দেশের ১১টি জোন থেকে অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সী ৩০ পারা কুরআনের হাফেজরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। চট্টগ্রামের আগে সিলেটও প্রতিযোগিতার অডিশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। চট্টগ্রাম পর্বের প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিজ্ঞ আলেমরা।  এবারের কুরআনের নূর প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা, দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে ৭ লাখ টাকা ও সম্মাননা, তৃতীয় পুরস্কার ৫ লাখ টাকা ও সম্মাননা। চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার ২ লাখ টাকা করে এবং সম্মাননা। এ ছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম স্থান অর্জনকারী বাকি তিনজন পাবে ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার ও সম্মাননা। এবারও জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীরা পাচ্ছেন বাবা-মা ও ওস্তাদসহ ওমরাহ পালনের সুযোগ। আর প্রতিযোগিতায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১৫ লাখ টাকা। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা এবং তৃতীয় বিজয়ী পাবে ৭ লাখ টাকা ও সম্মাননা। এ প্রতিযোগিতায় মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান, বাংলানিউজ  টোয়েন্টিফোর ডটকম, ক্যাপিটাল এফএম। পবিত্র রমজানে কুরআনের নূর সম্প্রচারিত হবে নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনে।

 

সর্বশেষ খবর