মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মনোনয়নে চমক খুলনায়

আলোচনায় খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসন

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

বিতর্কিত ভূমিকার কারণে খুলনা-১ আসনে (কয়রা-পাইকগাছা) এক দিন আগেও আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের ধারণায় ছিল বর্তমান সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন না। কর্মী-সমর্থকদের ধারণা প্রতিফলিত হয়েছে। এই আসনে মনোনয়ন পাওয়া মো. রশীদুজ্জামানকে নিয়েও হিসাব মিলাতে পারছেন না কর্মী-সমর্থকরা। আওয়ামী লীগ নেতা মো. রশীদুজ্জামান পাইকগাছার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও লবণ ঘের বিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি মনোনয়ন দৌড়ে ছিলেন শেষ সারিতে।

একইভাবে খুলনা-৩ আসনে (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী থানা) বাদ পড়েছেন ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে পরপর তিনবারের সংসদ সদস্য ও বর্তমান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। দাপুটে এই নেতাকে হটিয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। ‘প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান কেন বাদ পড়লেন’ এ নিয়ে মানুষের কৌতূলের শেষ নেই। মন্নুজান সুফিয়ান দীর্ঘদিন শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। নেত্রী থেকে সংসদ সদস্য ও সংসদ সদস্য থেকে মন্ত্রী হওয়ার পরও সাদাসিধা জীবনযাপন করেন। তারপরও নানা অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগে তিনি সমালোচিত হয়েছেন।

এদিকে মনোনয়ন না পাওয়ায় মন্নুজান সুফিয়ানের সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হলেও সাধারণ নেতা-কর্মীর মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। এলাকায় অনেকেই মিষ্টি বিতরণ করেছেন। দৌলতপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারহানা জামান নিপু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী এস এম কামালকে নৌকা দেওয়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আনন্দিত। এতে সাধারণ মানুষের মনের আশা পূরণ হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এ অঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক শেখ হেলালউদ্দীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।

অপরদিকে খুলনা-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস বাদ পড়েছেন। তার বদলে নৌকা পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল।

এর বাইরে খুলনা-২, ৪ ও ৫ আসনে পুরনো প্রার্থীতেই আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগ। খুলনা-২ আসনে আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। এছাড়া খুলনা-৪ আসনে আবদুস সালাম মূর্শেদী ও খুলনা-৫ আসনে ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে পরপর তিনবারের হ্যাটট্রিক বিজয়ী সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ পুনরায় মনোনয়ন পেয়েছেন।

এদিকে সব প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী। তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দলের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। কিন্তু প্রার্থিতা ঘোষণার পর সবই একসঙ্গে নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করছি।

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর