বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় হিফজুল কুরআনের প্রতিযোগিতা কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপের কুমিল্লা জোনের অডিশন চলছে। গতকাল সকাল ৮টায় রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়। ১০টায় শুরু হয় অডিশন। কুমিল্লা বিভাগের ছয় জেলা চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর ৪৬৫ প্রতিযোগী প্রথম রাউন্ডে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া কুমিল্লার আলেখাঁরচর (বিশ্বরোড) এলাকায় চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন জামিয়া মাদানিয়া রওজাতুল উলুম মাদরাসা মাঠে এ অডিশন অনুষ্ঠিত হয়। অডিশন শুরুর পর কুরআন তিলাওয়াতে মুখর হয়ে ওঠে মাদরাসাপ্রাঙ্গণ। কিশোর হাফেজদের সুরেলা গলা সবার মন কেড়ে নেয়। পাঁচটি বুথে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর পাঁচটি প্যানেলে বিচারকরা প্রথম রাউন্ডের প্রতিযোগীদের বাছাই করেন। মোট ৩০ জন প্রতিযোগী দ্বিতীয় রাউন্ডে কোয়ালিফাই করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মারকাজুল তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার পরিচালক হাফেজ কারি রহমতুল্লাহ বলেন, ‘এবারের প্রতিযোগিতায় আমাদের মাদরাসা থেকে ১৬ জন অংশগ্রহণ করে। ২০২৩ সালে বসুন্ধরা গ্রুপ আয়োজিত কুরআনের নূর প্রতিযোগিতায় আমাদের মাদরাসার প্রতিযোগীরা তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান দখল করে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সত্তরের অধিক পুরস্কার পায় এ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। এবারও আমরা ভালো করব ইনশা আল্লাহ।’ নোয়াখালীর তারতিলুল কুরআন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ওসমান গনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো আমাদের মাদরাসা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। মাদরাসায় তাদের একটা পরীক্ষা নিই। সেখানে উত্তীর্ণদের এখানে নিয়ে আসা হয়।’ ফেনীর মারকাজুল কোরআন মাদরাসার শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রতিবন্ধী ছাত্র আমির সাঈদ সাত মাসে কুরআনে হাফেজ হয়। এবার সেও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে।’ প্রতিযোগী মেহেদী হাসান বলে, ‘প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে ভালো লেগেছে। এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।’ সারা দেশের ১১ জোন থেকে অনূর্ধ্ব-১৬ বছরের কুরআনের হাফেজরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট জোনের প্রতিযোগিতার অডিশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দেশবরেণ্য বিজ্ঞ আলেমরা।

প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা, দ্বিতীয় বিজয়ী ৭ লাখ টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা ও সম্মাননা। চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ২ লাখ করে টাকা ও সম্মাননা। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম স্থান অর্জনকারী বাকি তিনজন পাবে ১ লাখ করে টাকা ও সম্মাননা। এবারও জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীরা পাচ্ছে মা-বাবা, শিক্ষকসহ ওমরাহ পালনের সুযোগ। আর প্রতিযোগিতায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১৫ লাখ টাকা পুরস্কার। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা এবং তৃতীয় বিজয়ী পাবে ৭ লাখ টাকা ও সম্মাননা। এ প্রতিযোগিতায় মিডিয়া পার্টনার বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠ, ডেইলি সান, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম ও ক্যাপিটাল এফএম। পবিত্র রমজান মাসে ‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’ আয়োজনটি সম্প্রচারিত হবে নিউজটোয়েন্টিফোর টেলিভিশনে।