শিরোনাম
বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

উপকূলীয় সুবিধাভোগী হতদরিদ্র পরিবারের আয় বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

২০২১ সালের জুনে খুলনা উপকূলীয় দাকোপ ও কয়রার সুবিধাভোগী ৩৫৮৫টি হতদরিদ্র পরিবারের মাসিক আয় ছিল গড়ে ৬ হাজার ৮৬০ টাকা। বর্তমানে ওই সব পরিবারের মাসিক আয় হয়েছে ১০ হাজার ৮০ টাকা। তিন বছরের ব্যবধানে প্রতিটি পরিবারের আয় বেড়েছে গড়ে ৪৭ শতাংশ। একইভাবে পরিবারগুলোতে সুপেয় পানি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, সামাজিক নিরাপত্তাবোধ বেড়েছে। জানা যায়, প্রায় ২৬ হাজার পরিবারের ওপর জরিপ করে ৩৫৮৫টি হতদরিদ্র পরিবার বাছাই করা হয়। প্রকল্পের আওতায় তাদের কৃষি, গবাধি পশু ও মাছ উৎপাদনে প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে গত ছয় মাসে লবণাক্তাঞ্চলে বাড়ির আঙিনায় বিশেষ ব্যাগ পদ্ধতিতে এসব পরিবার প্রায় ২.২৯ মেট্রিক টন আদা উৎপন্ন করেছে। পুকুর-ঘেরে মাছ ও ঘেরের আইলে, মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষ করছেন। গতকাল খুলনার রূপসায় ‘উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের (ইআরসিসি) জরিপ প্রতিবেদনে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি সংস্থা জেজেএসের নির্বাহী পরিচালক এ টি এম জাকির হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম ও ইউনিসেফ খুলনা বিভাগীয় প্রধান কাওসার হোসেন। এতে বলা হয়, উপকূলে দারিদ্র্য বিমোচনের নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতার কারণে বিপুল পরিমাণ জমি চাষের আওতায় আনা যায়নি। দুর্যোগে অসংখ্য মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়ে দারিদ্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। তাদের জীবনমান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে বিকল্প কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খুলনা উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপকূলীয় এলাকায় অসংখ্য খাল-বিল রয়েছে। এগুলো ইজারা দেওয়া বন্ধ করে মিষ্টি পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। এতে সাধারণ কৃষকরা ফসল উৎপাদনে এই পানি ব্যবহার করে লাভজনক হবে।

একইভাবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম উপকূলীয় অঞ্চলে উন্নয়ন টেকসই করতে সরকারি- বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর