দরপতনের সঙ্গে লেনদেন কমেছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহের তৃতীয় দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি সব কটি মূল্যসূচকও কমেছে। একই সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। গত আট মাসের মধ্যে এক দিনে সর্বনিম্ন লেনদেন হলো ডিএসইতে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৭৬টির। আর ১৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম অপরিবর্তিত থাকা বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।
দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান স্থান করে নেওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৬৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৭২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর আগে গত ২৮ মার্চ ডিএসইতে ২৭২ কোটি ৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এরপর বাজারটিতে আর এত কম লেনদেন হয়নি। টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৯৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৫৭টির এবং ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।