চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরীকে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মুরাদ চৌধুরী রাঙ্গুনিয়ার পূর্ব সফরভাটা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সোমবার নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন স্থানে মুরাদ চৌধুরী তার অনুসারীদের নিয়ে মহাসমাবেশ স্থলে অবস্থান নেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা ছিল পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তদের মনোবল ভেঙে দেওয়া। কাকরাইলে উপস্থিত কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় নয়াপল্টনের বিএনপি অফিসসংলগ্ন ভিক্টরি হোটেলের পাশের গলি দিয়ে মুরাদ চৌধুরী তার অনুসারীদের নিয়ে পুলিশের ওপর হামলার উদ্দেশে অগ্রসর হয়।

 এক পর্যায়ে তারা পুলিশ কনস্টেবল ইটের আঘাতে পড়ে গেলে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে নাশকতাকারীরা। কনস্টেবলের মৃত্যু নিশ্চিত করে ছাত্রদল নেতা আমান, যুবদল নেতা জাকির হোসেন জসিম এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী তাদের অনুসারীদের নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। তিনি জানান, এ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে সোমবার চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানা ও রাঙ্গুনিয়া থানায় সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন, বেআইনি সমাবেশ, নাশকতা, হত্যাচেষ্টাসহ দুটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।