রাজধানীর শ্যামপুরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ডাকাতির অভিযোগে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- আলম, আলমগীর হোসেন, পলাশ শেখ ও সাব্বির হোসেন। গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা বাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী ঢাকার তাঁতীবাজার থেকে স্বর্ণ নিয়ে ব্যবসা করেন। মঙ্গলবার ৩৮.৯৭০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা নিয়ে ফরিদপুরে যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশায় করে পোস্তগোলার উদ্দেশে রওয়ানা হন। রাত ৮টায় পোস্তগোলা ব্রিজের পূর্ব পাশে পৌঁছলে কেরানীগঞ্জের দিক থেকে আসা একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস হঠাৎ তার অটোর গতিরোধ করে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী কিছু বুঝে উঠার আগেই মাইক্রোবাস থেকে দুইজন নেমে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয় এবং তাকে টেনেহেঁচড়ে মাইক্রোবাসে উঠায়। গাড়িতে ড্রাইভারসহ আরও চার-পাঁচজন ছিলেন।
তারা সবাই মিলে তাকে হাত-পা ও চোখ বাঁধার চেষ্টা করেন। তিনি বাধা দিলে কিলঘুষি মেরে আহত করেন। একপর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাভর্তি ব্যাগ এবং দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।
ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ডাকাতরা গাড়িটি ঢাকার দিকে চালিয়ে যেতে থাকে। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ গজ দূরে রাস্তায় প্রচন্ড জট থাকায় তারা গাড়িটি ঘুরিয়ে উল্টোপথে আসতে থাকেন। এ সময় শ্যামপুরের পোস্তগোলা এলাকায় কর্তব্যরত সার্জেন্ট গাড়িটি থামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চায় ও উল্টাপথে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তখন একজন নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দেন। এ সময় ভুক্তভোগী পুলিশ দেখে গাড়ির ভিতর থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করেন। তখন সার্জেন্টের সন্দেহ হয় এবং আশপাশের টহল পুলিশের সহায়তা নেন। কর্তব্যরত সার্জেন্ট, টিআই ও শ্যামপুর থানা টহল পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে।