শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কেউ কাউকে দেবে না ছাড়

রংপুরে অনড় অবস্থানে নৌকা-লাঙ্গল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

কেউ কাউকে দেবে না ছাড়

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি কেউ কাউকে ছাড় দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এতে করে নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। বৃহত্তর রংপুরের ২২টি আসনের মধ্যে ছয়টি জাতীয় পার্টির। এবার ওই ছয়টি আসন ধরে রাখতে পারবে, নাকি আসন আরও বাড়বে এনিয়ে চলছে আলোচনা। তবে বৃহত্তর রংপুরের ২২ আসনে জাপা-আওয়ামী লীগ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এমনটা মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, একক নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ায় জাতীয় পার্টি রংপুর অঞ্চলে কতটা সুবিধা করতে পারবে এ নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। অনেকে মনে করছেন এবার রংপুরে জাতীয় পার্টির আসন বাড়বে। তবে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা এই সমীকরণ মানতে নারাজ। তারা মনে করছেন এবার জাপা ছয়টি আসন পাবে না। বৃহত্তর রংপুরের পাঁচ জেলার ২২টি আসনের মধ্যে অধিকাংশ আসনই জাতীয় পার্টি পাবে এমনটা আশা করছেন জাপা নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে কতটুকু কুলিয়ে উঠতে পারবে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা এ নিয়ে চলছে হিসাবনিকাশ। আসন্ন নির্বাচনে কী হবে এনিয়ে জাপা-আওয়ামী লীগে চলছে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ। রংপুর জেলায় ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে চারটি এবং জাতীয় পার্টির কাছে রয়েছে দুটি। এর মধ্যে রংপুর সদর আসনে প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ এমপি ছিলেন। এই আসনটিতে এবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের নিজেই প্রার্থী। রংপুর-১ গঙ্গাচড়া আসনের এমপি জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব দল থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত মসিউর রহমান রাঙ্গা। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জি এম কাদেরের ভাতিজা এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ। রাঙ্গা লড়ছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। এ ছাড়া নৌকা মার্কার প্রার্থী রয়েছেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু। স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছে এই আসনে। ফলে এখানে চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। রংপুর-৬ পীরগঞ্জ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এখানে জাপার প্রার্থী মো. নূর আলম মিয়া। এখানে আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকলেও লাঙ্গলের সঙ্গে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ ছাড়া রংপুর-৪ আসনের বর্তমান এমপি বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি নৌকা মার্কার প্রার্থী। এখানে জাতীয় পার্টির মোস্তফা মহসিন বেঙ্গল। রংপুর-৫ আসনের এমপি এইচ এন আশিকুর রহমানের ছেলে রাশেক রহমান আওয়ামী লীগের প্রার্থী। স্বতন্ত্র নির্বাচন করার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে মাঠে রয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আনিছুর রহমান।

নীলফামারীর চার আসনের মধ্যে তিনটিই আওয়ামী লীগের দখলে। একটি জাতীয় পার্টির। আওয়ামী লীগের দখলে থাকা ওই তিনটি আসনে জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দিয়েছে। এখানে মূল লড়াই হবে নৌকা ও লাঙ্গলের। লালমনিরহাটের তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি আওয়ামী লীগের দখলে। লালমনিরহাট-১ আসন ছিল জাতীয় পার্টির।

গাইবান্ধায় পাঁচটি সংসদীয় আসন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দখলে ছিল চারটি। একটি আসন জাতীয় পার্টির। এই পাঁচটি আসন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এমনটা মনে করা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলায় চারটি আসনের একটি জাতীয় পার্টির। আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে তিনটি। এবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কুড়িগ্রামের একটি আসনও ছাড় দিতে চাচ্ছেন না।

রংপুর জেলায় জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব হাজি আবদুর রাজ্জাক বলেন, রংপুরে জাতীয় পার্টি আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২২টি আসনেই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাসেম বলেন, আওয়ামী লীগ আগামীতে যে কোনো নির্বাচনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর