শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এবার পদ্মা পাড়ি দেবে লোকাল ট্রেন

জাহিদুজ্জামান, কুষ্টিয়া

এবার পদ্মা পাড়ি দেবে লোকাল ট্রেন

কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে আগামীকাল (১ ডিসেম্বর) থেকে আরও দুটি ট্রেন পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকা যাবে। এর মধ্যে একটি লোকাল ট্রেনও রয়েছে। ১৪৫ টাকা ভাড়ায় ঢাকা যেতে পারবেন কুষ্টিয়া অঞ্চলের মানুষ। দিনে-রাতে বিভিন্ন সময়ে চারটি ট্রেনে অল্প সময়ে কম খরচে ঢাকা যাতায়াত করতে পারবেন তারা। মধুমতী এক্সপ্রেস ও নকশীকাঁথা মেইল ট্রেন দুটি কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে আগে থেকেই চলাচল করত। ১ ডিসেম্বর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে চলে যাবে ঢাকা পর্যন্ত। কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনের বুকিং ইনচার্জ মো. সাইদুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা নকশীকাঁথা মেইল ট্রেন কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে। থামবে কুষ্টিয়া নামে অন্য স্টেশনে, কুমারখালী ও খোকসাতেও। এটি ঢাকা পৌঁছাবে সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে। ফিরতি ট্রেন ঢাকা থেকে ছাড়বে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে, কুষ্টিয়া পৌঁছাবে বিকাল ৫টা ১৪ মিনিটে। এই ট্রেনে কুষ্টিয়া-ঢাকা শোভন শ্রেণির ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৫ টাকা। যেখানে ঢাকা যেতে সর্বনিম্ন বাসভাড়া সাড়ে ৫০০ টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বান্না এক্সপ্রেস এই ট্রেন পরিচালনা করে।

তারা স্টেশনে স্টেশনে কাউন্টার বসিয়ে ম্যানুয়ালি টিকিট বিক্রি করে। এই ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না।

আর সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী ছেড়ে আসা মধুমতী এক্সপ্রেস ঢাকা পৌঁছাবে দুপুর ২টায়। এটি কুষ্টিয়া ছেড়ে যাবে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে। ফিরতি ট্রেন ঢাকা থেকে বিকাল ৩টায়, কুষ্টিয়ায় পৌঁছাবে ৭টা ৩৭ মিনিটে। এই ট্রেনের শোভন শ্রেণির ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯০ টাকা। এই শ্রেণিতে কুষ্টিয়ার জন্য ৫০টি সিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এ ছাড়াও গত এক মাস ধরে কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা চলাচল করছে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস। এ দুটি ট্রেনে সন্ধ্যা ও মধ্যরাতে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে সকালে ও দুপুরে। এসব ট্রেনের টিকিটের অনেক চাহিদা। সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্যও প্রতি ট্রেনে অর্ধশতাধিক স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ট্রেন চালু হওয়ায় কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন এলাকা সরগরম হয়ে উঠেছে। সবসময় ভিড় লেগে থাকছে মানুষের। তবে অনেক পুরাতন এই স্টেশনটি আধুনিক করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা। সোহেল রানা নামের একজন বলেন, স্টেশনটির প্ল্যাটফরম তুলনামূলক ছোট। এ কারণে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি প্ল্যাটফরমের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে এসি বার্থ কামরায় যেতে হলে অন্য কামরায় উঠে তারপর ভিতর দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। ট্রেনের মধ্যে ভিড় থাকায় অসুস্থ ও বয়স্কদের মালামালসহ যেতে খুব সমস্যা হচ্ছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর