লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল। তিনি ২০২১ সালের রাজধানীর পল্লবীতে শিশুপুত্রের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি। তৃণমূল বিএনপি থেকে হত্যা মামলার এ আসামিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে এম এ আউয়ালের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার ছোট ভাই আসলাম ও ব্যক্তিগত সহকারী মিজানসহ প্রতিনিধিরা। এম এ আউয়াল এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব। জানা যায়, তরিকত ফেডারেশন থেকে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

২০১৮ সালে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হলে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে চেয়ারম্যান হন।

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০২১ সালের ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে ছেলের সামনে প্রকাশ্যে সাহিন উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে এম এ আউয়ালসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে বের হন তিনি। মামলাটি এখন তদন্তাধীন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের ১৬ মে বিকাল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামে দুই যুবক সাহিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোনে ডেকে নেন। সাহিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন মিলে তাকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় সাহিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে নিয়ে সাহিনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে আলোচিত এ হত্যা মামলার আসামিকে তৃণমূল বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ার হোসেন খানকে। বুধবার পর্যন্ত ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তরিকত ফেডারেশনের একজন, জাতীয় পার্টির একজন ও চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতাও রয়েছেন।