শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাবিতে এনটিআরসিএ নিয়োগ নীতিমালা সংশোধনের দাবি

রাবি প্রতিনিধি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, এই শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমে প্রথম থেকে সপ্তদশ নিবন্ধন পর্যন্ত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা দেশের মাদরাসাগুলোয় সহকারী মৌলবি ও প্রভাষক পদে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সুযোগ পেতেন। কিন্তু ২০২০ সালের সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে এ সুযোগ হারায় ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জগন্নাথ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বীকৃত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জুবায়ের আলম বলেন, এ নীতিমালা প্রয়োগ করে আমাদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ আগে অনেকেই এ সুযোগ পেয়েছেন। এ নীতিমালা বৈষম্যমূলক। তাই অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আ ন ম মাসউদ উর রহমান বলেন, নতুন নীতিমালায় ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন; যা খুবই দুঃখজনক ও ঘৃণিত সিদ্ধান্ত। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২ নভেম্বর প্রকাশিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ‘অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৩’-এর বিজ্ঞপ্তি অনুসারে আরবি ও ফিকহ বিভাগে সহকারী মৌলবি ও প্রভাষক পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে ফাজিল বা কামিল ডিগ্রি অথবা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বা ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মাদরাসাগুলো থেকে ফাজিল বা কামিল ডিগ্রি অথবা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিষয়ে অনার্সসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি বিষয়ে অনার্সসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ফলে বঞ্চিত হয়েছেন স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী। আগে তারা এ সুযোগ পেতেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর