শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

পার্বত্য শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করছে জেএসএস : দীপংকর তালুকদার

রাঙামাটি প্রতিনিধি

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি অভিযোগ করেছেন, জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কারণে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংগঠনটি সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সরকারের সঙ্গে তারা শান্তি চুক্তি করে আবার সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের পাখির মতো হত্যা করে। তাদের কারণে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না। দীপংকর তালুকদার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত মঙ্গলবার রাঙামাটি শহরের চম্পকনগরে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন। এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অং সুই প্রু চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু উপস্থিত ছিলেন। দীপংকর তালুকদার বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে এত দ্রুত শান্তি চুক্তির ধারা বাস্তবায়ন হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য শান্তি চুক্তির ৫৭টি ধারার মধ্যে ৪৭টি ধারা ২৬ বছরে বাস্তবায়ন করেছে। বাকি ধারাগুলো বাস্তবায়নাধীন।চুক্তির পর পার্বত্যাঞ্চলে সীমান্ত সড়ক, সেতু, বিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত করা হয়েছে। জেএসএস এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিল। তারা আওয়াজ তোলে মেডিকেল কলেজ চাই না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চাই না। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যারা চেয়েছে তাদের অনেকেরই প্রাণ গেছে জেএসএসের হাতে। জেএসএসের এত সব বাধার  মুখে সরকার চুক্তির ধারাগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করে চলেছে।

অন্যদিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মূলধারাগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না। এখনো অনিরাপদ পাহাড়ের মানুষ। সমতলের মতো পাহাড়ের মানুষের নিরাপদ জীবন শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে মূলধারাগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে আরও আন্তরিক হতে হবে।

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পর স্থানীয় বাঙালিদের সঙ্গে বৈষম্য তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) ও নাগরিক পরিষদ। দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক ধারাগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে সংগঠনটি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সহসভাপতি কাজী জালোয়া বলেন, বৃহত্তর জনসাধারণের স্বার্থে পার্বত্য চুক্তির ২৬টি জাতীয় আইন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট ১২টি আইনসহ মোট ৩৮টি আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। এসব আইন সংশোধন করা না হলেও পাহাড়ে কখনো স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর