শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ছয়দিনের ‘গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব’। সংস্কৃতির সব শাখার প্রায় ১০ হাজার শিল্পী অংশ নিচ্ছে এই উৎসবে। ঢাকা জেলার উদ্বোধনী আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৫০ বছর পূর্তিতে সারা বছর অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেন তিনি। আলোচনা পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় ঢাকা সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনা ‘ও আলোর পথ যাত্রী’ ‘এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের, এ মাটি মানবতার’ সমবেত সংগীত। ‘জেগে থাক একাত্তর’ সমবেত আবৃত্তি পরিবেশন করে উদ্ভাসন। এরপরে ওয়ার্দা রিহাব-এর নির্দেশনায় ধৃতি নর্তনালয় পরিবেশন করে সমবেত নৃত্য ‘নোঙ্গর তোল তোল’...। ‘মন সওদাগর সওদা করো থাকিতে বেলা’ ও ‘মন মানুষ হইতে চাও জাতি ধর্ম ছেড়ে’ পরিবেশন করেন কাজল দেওয়ান।
‘লাল পাহাড়ের দেশে যা, রাঙ্গামাটির দেশে যা’ সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে সাভার নৃত্যদল। অনিমা মুক্তি গোমেজ পরিবেশন করেন একক সংগীত ‘আমার হার কালা করলাম রে’.. আনসার আলী পরিবেশন করেন একক সংগীত ‘ভাবের তালা’ (লালন গীতি)। দিশা মনি পাল (সাভার) পরিবেশন করেন একক নৃত্য ‘নীল অঞ্জন ঘন পুঞ্জ ছায়ায়’। কবি শান্তা মারিয়া পরিবেশন করেন কবিতা ‘জননী বাংলাদেশ’। এরপরে নবাবগঞ্জ নৃত্যদল পরিবেশন করে সমবেত সংগীত- ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে’। ‘দেখে যাও, ওরে ও পথিক ভাই... আমার পাড়ার গাঁও’... সমবেত সংগীত পরিবেশন করে কেরানীগঞ্জ সংগীত দল। ধামরাই সংগীত দল পরিবেশন করে সমবেত সংগীত- ‘বল নাহি ভয় নাহি ভয়/কারার ঐ লৌহ কপাট’। সমবেত সংগীত পরিবেশন করে ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে’.. সবশেষে আবারও সংগীত পরিবেশন করে ওয়ার্দা রিহাবের নৃত্যদল।