দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা থাকে না। আবার কোনো রাজনৈতিক পক্ষ যদি বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে, তখন সার্বভৌমত্ব ঝুঁকিতে পড়ে। বাংলাদেশে কোনো কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নিজেরাই এমন প্রশ্নের যে, তারা নিজেরা অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও অর্র্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ম. হামিদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি) ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক সংবাদ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন প্রমুখ।

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, স্বাধীনতার চেতনায় দেশে ও দেশের বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ এলে তা মোকাবিলা করতে হবে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধরে রাখার জন্য জাতীয় ইস্যুতে সবাইকে এক হতে হবে।

ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সমাজের কোনো কোনো জনগোষ্ঠী তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। কোনো সংগঠন যখন নিজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, তখনই প্রশ্ন ওঠে যে তার ক্ষমতা নেই, শক্তি নেই। যখন অন্য কেউ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় তখন বলা যায়, সংগঠনটি ভালো সংগঠন নয়। অন্যের সিদ্ধান্তের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে তখন সব প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়।

মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে জ্বালাও-পোড়াওয়ের যে রাজনীতি চলছে, তার শুরুই হয়েছে গণতন্ত্রকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে। জনগণের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে রাজনৈতিক পক্ষ যখন কোনো বিদেশি শক্তিকে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য ডেকে আনে, বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দেয় এবং বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে, তখন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঝুঁকিতে পড়ে যায়।