সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে দক্ষ ও চৌকশ জনশক্তি প্রয়োজন

-রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে দক্ষ ও চৌকশ জনশক্তি প্রয়োজন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গতকাল ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২৩ (এনডিসি) এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২৩ (এএফডব্লিউসি) এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন -আইএসপিআর

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে দক্ষ ও চৌকশ জনশক্তি প্রয়োজন। গতকাল ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২৩ (এনডিসি) এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২৩ (এএফডব্লিউসি) এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে (এনডিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  এ বছর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৪৩ জন, বেসামরিক প্রশাসনের ১৩ জন এবং ১৭টি বন্ধুপ্রতিম দেশের ২৯ জনসহ এনডিসি কোর্সে ১৪১ জন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট এয়ার ভাইস মার্শাল মু. কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, তিন বাহিনীর প্রধান, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা, অনুষদ, স্টাফ অফিসার এবং এনডিসি ও এএফডব্লিউসির কোর্স সদস্যরা। রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ ও বিকাশের কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। ফলে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য বেসামরিক ও সামরিক আমলাদের পাশাপাশি সরকারের দায়িত্বও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এই এনডিসি কোর্স প্রশিক্ষণার্থীদের নীতিনির্ধারণ, নিরাপত্তা বিধান, যুদ্ধ কৌশল ও উন্নয়নমূলক জ্ঞানার্জনের পথে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে। এ কোর্সগুলো একজন নিখুঁত, দূরদর্শী নেতা ও ভালো কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে উঠতে কাক্সিক্ষত সমন্বয়, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা, শৃঙ্খলা ও দক্ষতার জোগান দেবে। পেশাদারিত্বের আত্মবিশ্বাসকে উন্নত করবে।

তিনি বলেন, শুধু দক্ষ, জ্ঞানী এবং আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে টিকিয়ে রেখে এবং দারিদ্র্যকে অতিক্রম করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে পারবেন। দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘ভিশন ২০৪১’ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বব্যাংক বর্তমান ‘অর্থনৈতিক মিরাকল’ এবং ‘ডেভেলপমেন্ট মার্ভেল’ এর জন্য বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল এবং দারিদ্র্যের অনুপ্রেরণামূলক প্যারাগন হিসেবে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। রাষ্ট্রপতি এ সময় পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু টানেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া কারখানাসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরেন। এসব উন্নয়ন কর্মকান্ডকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির বহিঃপ্রকাশ বলে অভিহিত করেন তিনি।

দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ‘জনবান্ধব’ উল্লেখ করে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দেশপ্রেম, জাতির প্রতি অঙ্গীকার এবং শান্তি ও নিশ্চয়তার প্রতীক। ২৯ বিদেশি প্রশিক্ষণার্থীর উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা পেশাগত সম্পর্কের বাইরে গিয়েও বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সামাজিক বন্ধন ও বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছেন। আপনারা সবাই নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর