বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দলছুটদের নিয়ে মাঠে তৃণমূল বিএনপি

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

দলছুটদের নিয়ে মাঠে তৃণমূল বিএনপি

খোকন চৌধুরীর রাজনীতির যাত্রা শুরু জাতীয় পার্টির স্বেচ্ছাসেবক পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরীর আহ্বায়ক হিসেবে। এরপর ববি হাজ্জাজের সঙ্গে এনডিএমে গিয়ে হন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। সেখানেও স্থায়ী হয়নি তার পথ চলা। এবার নিজেই গড়ে তুললেন তৃণমূল এনডিএম নামে একটি রাজনৈতিক দল। চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনেও প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। ভাগ্য তার দিকে ফেরেনি, তবে এবার তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসন থেকে। অপরিচিত, জনসম্পৃক্তহীন ও বিএনপিসহ কয়েকটি দলের দলছুটদের সমন্বয়ে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। মাঠপর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-৫ আসনের প্রার্থী ভিপি নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও চাকসুর ভিপি ছিলেন। বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। চট্টগ্রাম-১১ আসনের প্রার্থী দীপক কুমার পালিত গত সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি ‘স্বাধীনতা পার্টি’ নামে একটি দলের যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। চট্টগ্রাম-১৩ আসনে মকবুল আহমেদ চৌধুরী সাদাত এক সময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের আনোয়ারা উপজেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। এসব প্রার্থীর নেই কোনো কর্মী বা সমর্থক। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার চার ভাগের এক ভাগ ভোটারও তাদের চেনেন না। এ দলের কোনো সাংগঠনিক ভিত্তিও নেই চট্টগ্রামে। ফলে আওয়ামী লীগে প্রভাবশালী প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী দৌড়ে কতটা দাঁড়াতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ ভোটারদের। তৃণমূল বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর খান বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলার ২৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী রয়েছে ১১ জন। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি আসনে বিশেষ করে চট্টগ্রাম-১৫, ১৬ আসনে প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি সময়ের অভাবে। আমি নিজেও মনোনয়ন জমা দেইনি। তিনি বলেন, অন্যান্য আসনগুলোর মধ্যে আমাদের সঙ্গে জোট করা চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দীনের নেতৃত্বে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম, স্বাধীনতা পার্টি ও হিন্দু বৌদ্ধ পরিষদকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আমাদের দলের মধ্যে যারা আছেন তাদের কেউ কেউ বিএনপি, আবার কেউ রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত ছিল না। জানা যায়, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-২ আসনে ডা. মোহাম্মদ জানে আলম, চট্টগ্রাম-৩ নাঈম হাসান, চট্টগ্রাম-৪ খোকন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ মাসুদুর রহমান, চট্টগ্রাম-৬ আসনে ফয়জুল্লাহ, চট্টগ্রাম-৭ আসনে খোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সন্তোষ শর্মা, চট্টগ্রাম-৯ আসনে সুজিত সরকার, চট্টগ্রাম-১১ আসনে দীপক কুমার পালিত, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে মকবুল আহমেদ চৌধুরী সাদাত, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে রাজীব দাস, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে মোস্তাক আহমেদ সবুজ এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মমতাজুল হক চৌধুরী। এর মধ্যে তৃণমূল বিএনপির জোট করা প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামকে পাঁচটি আসন দিয়েছে। তার মধ্যে চট্টগ্রাম-৫ আসনে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের চেয়ারম্যান ভিপি নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-১ আসনে আহাদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৬ আসনে সাবেক ছাত্রদল নেতা ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ আসনে ফেরদৌস বশির, চট্টগ্রাম-১২ আসনে রাজিব চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ওসমান গণি।

এ ছাড়াও কক্সবাজার-১ আসনে আলী আকবর, কক্সবাজার-২ আসনে আকবর খান, কক্সবাজার-৩ আসনে অধ্যক্ষ লায়ন ড. মুহাম্মদ সানাউল্লাহ ও কক্সবাজার-৪ আসনে মুজিবুর হক মুজিব। পার্বত্য তিন জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি আসনে উশ্যেপ্রু মারমা, চিত্র বিকাশ চাকমা ও রাঙামাটি আসনে শাহ হাফেজ মিজানুর রহমান। তবে বান্দরবান আসনে কোনো প্রার্থী দিতে পারেনি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর