সাজা থেকে অব্যাহতি দিয়ে একজন ভালো বিচারক হওয়ার সুযোগ চেয়ে আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন আদালত অবমাননার দায়ে এক মাসের সাজাপ্রাপ্ত কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানা। বর্তমানে তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আছেন। গতকাল প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আবেদন শুনানি শেষে সোহেল রানার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পরবর্তী শুনানির জন্য ৬ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদালতে বিচারকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও শাহ মঞ্জুরুল হক।

তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ।

২০১৯ সালের ৬ মার্চ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাই কোর্ট। এ স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কুমিল্লার তৎকালীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা গত ১০ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।

উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে মামলার কার্যক্রম চালানো এবং অভিযোগ গঠন করায় বিচারক সোহেল রানার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে অভিযোগ করেন আসামি মামুন চৌধুরী। এ ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাই কোর্ট সোহেল রানাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন সোহেল রানা। গত ২১ নভেম্বর সোহেল রানার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানির জন্য গতকালের দিনটি ধার্য করা হয়। আজ সোহেল রানার আপিলের ওপর পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।