স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করা হয়। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। আজ বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারি আইনজীবী ইউসুফ আলী। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর থাকার বিধান থাকার কারণে অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এই বিধানটা তুলে দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঝামেলামুক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এ কারণে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেছি।’ আরপিও ১২ ধারায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর থাকার বিধানটি সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি দাবি করে এই আইনজীবী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৭৩১ জনকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কারণ ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন আদায় নিয়ে সমস্যা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এ শর্ত দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা বলা হলেও নির্বাচনে কমিশন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষরসহ তালিকা জমা দিতে বলেছে।

এতে ভোটের আগেই ভোটারের সমর্থন ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। অনেক প্রার্থী বলছেন, ১ শতাংশের বেশি ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হলেও তা জেলা নির্বাচন কমিশন পুলিশ এবং প্রশাসন দিয়ে যাচাই-বাছাই করায় অনেকে ভয় পেয়ে আড়ালে চলে গেছেন। স্বাক্ষর করা অনেকে কর্মজীবী হওয়ায় যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে তাদের পায়নি জেলা নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টরা।