শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আর্থিক সংকটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির টার্গেট কমাল সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্থিক সংকটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির টার্গেট কমাল সরকার

চলমান আর্থিক সংকট ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে অর্থবছরের মাঝামাঝিতে এসে চলতি ২০২৩-২৪ বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে এনেছে সরকার। একই সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে গতকাল ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হার-সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থবিভাগের একাধিক সূত্র।

সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। আর মূল্যস্ফীতির বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এ ছাড়া আগামী বাজেটের আকার নিয়েও সভায় আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানান, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হতে পারে ৮ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার মতো। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি  প্রাথমিকভাবে প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ দশমিক    ৭৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা  হতে পারে ৫ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা।

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার প্রমুখ অংশ নেন।

চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৭ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে। মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বাজেট বরাদ্দ ছিল যেখানে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা, কমিয়ে তা ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা  করা হচ্ছে। বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে,  অনুদান ছাড়া চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এ ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা।

সূত্রগুলো জানায়, বৈঠকে রাজস্ব আয়ের নিম্নগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের চার মাসেই রাজস্ব কম আদায় হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। এনবিআরের পক্ষ থেকে এ সময়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বাস্তবসম্মত কোনো কৌশল বৈঠকে উপস্থাপিত হয়নি। এ ছাড়া সার্বিক রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় কমে যাওয়া, ডলার সংকট, আমদানি কমে যাওয়া ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয় সভায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর