শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বৃষ্টিতে অস্থির আলু পিঁয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৃষ্টিতে অস্থির আলু পিঁয়াজ

বাজার দর

রাজধানীতে বৃষ্টির অজুহাতে আবারও আলু-পিঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। আর আলুর দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, রায়েরবাগ মালিবাগ বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

যাত্রাবাড়ী বাজারে পাইকারি আলু-পিঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রমপুরের আলু প্রতি কেজি ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৪-৪৫ টাকা। গত সপ্তাহে ৪৮ টাকা করে বিক্রি করা রাজশাহীর আলু (ডায়মন্ড) বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা করে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে ৪৬ টাকা করে বিক্রি করা কাটিলাল আলু এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৪ টাকা দরে। পাইকারি বাজারে পুরান আলু এ দামে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে এর দাম আরও বেশি। শীতকালে এসব পুরান আলুর তুলনায় নতুন আলুর চাহিদা থাকে বেশি। তবে এবার এখনো নতুন আলু সেভাবে না ওঠায় দাম অনেক বেশি। গত সপ্তাহের তুলনায় খুচরা বাজারে নতুন আলুর দাম কেজিতে ৩০-৩৬ টাকা কমলেও এখনো ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা দরে, যা এখনো সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। যাত্রাবাড়ী বাজারের আলুর পাইকারি বিক্রেতা হানিফ মোহাম্মেদ বলেন, এখন পুরান আলুর মৌসুম শেষের দিকে। কোল্ড স্টোর থেকে বীজের জন্য আলু নেওয়া হচ্ছে। তাই বাজারে সরবরাহ কম, দামও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে ক্রেতাও কম মিলছে। তবে আলুর দাম বৃদ্ধির জন্য বিক্রেতাদের কারসাজিকেই দায়ী মনে করছেন ক্রেতারা। শরিফ নামের এক ক্রেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে। সরবরাহ নেই, বৃষ্টি- এগুলো শুধু তাদের অজুহাত। সরকার চেষ্টা করেও সিন্ডিকেট বন্ধ করতে পারেনি। আলু-পিঁয়াজের দাম নির্ধারণ করলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। এদিকে আবারও রেকর্ড পরিমাণ দামে বিক্রি হচ্ছে পিঁয়াজ। ভারত ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পিঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করায় পিঁয়াজের বাজারে আরও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। রায়েরবাগে বর্তমানে প্রতি কেজি পাবনার দেশি পিঁয়াজ ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকা করে। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা করে বিক্রি হওয়া ফরিদপুরের পিঁয়াজ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। এ ছাড়া আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০-১০০ টাকা।

পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে খালিদ নামের এক বিক্রেতা বলেন, দেশি পিঁয়াজের সিজন শেষ। তাই দাম বেশি। ১৫ দিন পর নতুন পিঁয়াজ আসবে, তখন দাম কমবে।

সবজির বাজারে দেখা গেছে, শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকায়। ফুলকপি-বাঁধাকপিও বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে। এ ছাড়াও বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি। এক আঁটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। লাউশাক ৫০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর