শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

খুলনায় মামলা-গ্রেফতারে কোণঠাসা বিএনপি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

তিন দিনের ব্যবধানে ভাঙচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে খুলনা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পর এ পর্যন্ত খুলনা জেলার ৩৩৫ জন ও মহানগরের ৯৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফলে মামলা-গ্রেফতারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে খুলনা বিএনপি। তবে স্থানীয় শীর্ষ নেতারা বলছেন, দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনার পর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে কর্মীদের উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে কর্মসূচিতে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও নারী কর্মীদের উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় আন্দোলনে হতাহত নেতা-কর্মীর পরিবারের সমস্যদের কর্মসূচিতে মাঠে নামতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

জানা যায়, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে খুলনা কেডি ঘোষ রোডে বিএনপির কার্যালয় তালাবদ্ধ রয়েছে।

অধিকাংশ শীর্ষ নেতার মোবাইল ফোন এখনো বন্ধ রয়েছে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সামনে রেখে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামতে চায় বিএনপি। তাই প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে মাঠে নামার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করলেও আত্মগোপনে ছিলেন সামনের সারির নেতারা। হাইকমান্ডের নির্দেশনা পাওয়ার পর ধীরে ধীরে সবাই মাঠে নামছেন। তবে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানা ও ৭ ডিসেম্বর সোনাডাঙ্গা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব হাসান পিয়ারু, একরামুল হক হেলাল, হাসানুর রশিদ মিরাজসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ৪ ডিসেম্বর রাতে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিন ও জেলা ছাত্রদলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খালিদ ওয়ালিদকে গ্রেফতার করা হয়। ফলে গ্রেফতার এড়াতে কৌশলগত কারণে শীর্ষ সারির নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর