শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নরসিংদী-নেত্রকোনায় দুজনকে শোকজ

আচরণবিধি ভঙ্গ

নরসিংদী ও নেত্রকোনা প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-১ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর মতবিনিময় সভায় ‘নৌকাওয়ালারা পালানোর জন্য জায়গা পাবে না’ বলা আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংসদীয় আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরীন এ নোটিস দেন। নোটিসে এ বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচনি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- জানতে চাওয়া হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। নোটিস পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাকে হাজির হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার দুপুরে মাধবদী পৌরসভা মিলনায়তনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুলের মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে সদর আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরুর (বীর প্রতীক) লোকজনকে উদ্দেশ্য করে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা যখন জানবেন মাধবদীর মেয়র মোশারফ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ভাইয়ের জন্য নামছেন, তখন কেউ বাধা দিয়ে রাখতে পারবেন না। কাল থেকে নৌকাওয়ালারা পলাইবার জন্য জায়গা পাবে না।’ এ বক্তব্য শুনে উপস্থিত লোকজন হাসাহাসি শুরু করলে তিনি নিজের বক্তব্য সংশোধন করে বলেন, ‘নৌকা বলি না আমরা হীরুর নৌকা বলি, হীরু.. হীরু..। হীরুর লোকরা পলাইবার জায়গা ইনশাল্লাহ পাবে না। ৭ তারিখে যে জাগরণ সৃষ্টি হবে এ নরসিংদীতে এই জাগরণের পরিণতিতে কামরুল ভাই (স্বতন্ত্র প্রার্থী) বিপুল ভোটে জয়ী হবে।’ এদিকে নেত্রকোনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করায় শোকজ পেয়েছেন বারহাট্টা উপজেলার আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ। তিনি সংসদীয় আসন ১৫৮ নেত্রকোনা ২ (সদর বারহাট্টা) আসনের সংসদ সদস্য পদে ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থীর নির্বাচনি আলোচনায় সরাসরি ভোট চেয়েছেন। সরকারি স্কুলের সময়ে স্কুল ফেলে প্রচারণায় যাওয়ার এমন খবর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার শাহেদ পারভেজের নজরে গেলে ওই শিক্ষককে কারণ দর্শাতে (শোকজ) নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত বুধবার সকাল ১০টায় ইসলামী ঐক জোটের প্রার্থী মো. ইলিয়াসের বাড়ি উপজেলার নুরুল্লার চর গ্রামে ওই শিক্ষকের ভোট চাওয়ার ছবি পেয়ে বিকালেই শোকজ নোটিস জারি করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান খান। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শোকজের খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে গেলেও অভিযুক্ত বারহাট্টা উপজেলার আশিয়ল সরকারি প্রধান শিক্ষক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজের দাবি তিনি নোটিস হাতে পাননি। এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্কমর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে। জবাবের পরে এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর