প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দুর্নীতিবাজদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি যেমন বৈষম্য, সামাজিক অনৈক্য ও অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করে, তেমনি তা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।

গতকাল আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে দুদক। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি মনে করি, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের গুরুদায়িত্ব দুদকের হলেও এককভাবে কমিশনের পক্ষে দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয়। বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও আইন বিভাগের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও জনগণের সক্রিয় উদ্যোগই পারে সমাজ থেকে দুর্নীতি নামক বিষবৃক্ষকে নির্মূল করতে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, দুর্নীতির মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দেশের সব জেলায় বিশেষ জজ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে হাই কোর্ট বিভাগের একাধিক বেঞ্চ দুর্নীতি দমন আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলাগুলো শুনানি করছেন। দেশের অধস্তন আদালত ও উচ্চ আদালতে দুর্নীতির মামলাগুলো যথা শিগগিরই নিষ্পত্তিতে বিচার বিভাগ সচেষ্ট। তিনি আরও বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির বিকাশের কারণে দুর্নীতির ধরন ও পদ্ধতিও পাল্টেছে। তাই বর্তমান বাস্তবতায় দুদকের সামনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ বিরাজমান। দুর্নীতি প্রতিরোধে সৃজনশীল ও উদ্ভাবনীমূলক কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগ নিতে হবে। তবে এটা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক যে, দুদক কর্তৃক মামলা যেমন আগের তুলনায় বেড়েছে তেমনি মামলায় সাজার হারও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।