সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই এ দেশে মানবাধিকারের পক্ষে বেশি সোচ্চার

-ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই এ দেশে মানবাধিকারের পক্ষে বেশি সোচ্চার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের পক্ষে বেশি সোচ্চার। বিএনপির মুখে মানবাধিকারের বুলি শোভা পায় না। দলটির নেতাদের কথা শুনে মনে হয়, তারা এখানে বিশ্ব মোড়লদের সোল এজেন্ট। গতকাল বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল ১০ ডিসেম্বর ছিল বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব রেকর্ড ভেঙেছে। এ দেশে স্বাধীনতার পর ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।

এ নৃশংসতা সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এ হত্যার বিচার করতে দেওয়া হয়নি। জেলের ভিতরে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শেষ করে দিতে এসব হত্যাকা  ঘটানো হয়েছিল।

তিনি বলেন, মানবাধিকারের কথা বলতে হলে প্রথমে বলতে হবে ফিলিস্তিনের কথা। ইসরায়েল গাজায় ১৮ হাজার মানুষ মেরেছে। যার মধ্যে ৮ হাজার শিশু ও ৫ হাজার নারী। এখনো সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। অথচ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের পক্ষে একমাত্র ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারতের পর জনসভার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করা হবে। জোট শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। সুতরাং আসন ভাগাভাগির জন্য এখনো হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে। কোনো ধরনের বিভ্রান্তি যাতে না ছড়ায় এ জন্য জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজম, মৃণাল কান্তি দাস, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর