পুলিশের হেফাজতে রিহ্যাব সেন্টারে (পুনর্বাসন কেন্দ্রে) পাঠানো হয়েছে ব্যবসায়ী আদম তমিজী হককে। তার বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় মামলা হয়েছে। রমনা থানায় ওয়ারেন্ট ইস্যু রয়েছে। এসব মামলায় তমিজীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রাজধানীর মিন্টো রোডে গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। জানা গেছে, আদম তমিজী হককে গুলশান-১ এ মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র বীকন পয়েন্ট লিমিটেডে পাঠানো হয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, তমিজীর কথা শুনে মনে হয়েছে, আসলেই তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তা না হলে একটি লোক এভাবে কথা বলে কেন? তবে তা যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয় তাহলে এর পেছনে কারা জড়িত, তা তদন্তে বের করা হবে।

 তমিজী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে বিভিন্ন ধরনের অসংলগ্ন কথা বলেছেন। তিনি যে দেশে খেয়ে-পরে মানুষ হয়েছেন, তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যে দেশে আছে সেই দেশেরই পাসপোর্টটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে পুড়িয়ে ফেলেছেন। তিনি ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছেন তাকে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার করার জন্য। মার্কিন মেরিন সেনাকে বলেছেন, সরকার তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাকে উদ্ধার করার জন্য। আরও বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন। তমিজী অনেকগুলো বিয়ে করেছেন। একবার এক বউকে ধরেন আরেক বউকে ছাড়েন- এমন পারিবারিক অনেক সমস্যা রয়েছে। বিভিন্ন কারণেই মনে হয়েছে তিনি ভারসাম্যহীন। তিনি যদি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে থাকেন তার জন্য আদম তমিজীকে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়েছি। সেখানে ডাক্তাররা আছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি যদি মানসিকভাবে ঠিক থাকেন তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।