১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন বর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা। সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা এবং সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের আলোকে তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে আওয়ামীপন্থি এবং জামায়াতপন্থি শিক্ষকরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জামায়াত এবং আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা। গতকাল নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি বিএনপি শিক্ষক সংগঠনগুলোর একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, ইবিতে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের জিয়া পরিষদ, সাদা দল এবং ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) নামে তিনটি সংগঠন রয়েছে।
এর মধ্যে শনিবার রাতে নির্বাচন বর্জনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জিয়া পরিষদ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিয়া পরিষদের সাধারণ সভায় দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির প্রতিবাদ ও কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের পরামর্শের আলোকে আসন্ন ইবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে ইবি জিয়া পরিষদের সব সদস্যকে নির্বাচন থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এ ছাড়া বিএনপির অন্য দুই সংগঠন সাদা দল এবং ইউট্যাব নেতারা নির্বাচন বর্জনের কথা জানিয়েছেন। ইউট্যাব সভাপতি ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমরা শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। সাদা দল থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি সংগঠনটির আহ্বায়ক ড. কে এম মতিনুর রহমান জানিয়েছেন।
এদিকে আজ শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র উত্তোলনের শেষ সময় ছিল। সেখানে বিএনপিপন্থি শিক্ষক প্যানেল থেকে কেউ মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেননি। তবে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা দুটি প্যানেলে এবং জামায়াতপন্থিরা পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নেবেন। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। কারও বর্জনের সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে না।’