সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গাজায় বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষক সমিতির

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। গতকাল দুপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটি। মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. আবদুস ছামাদ, ড. ফাজরীন হুদা, ড. আবদুর রহিম শহীদ, অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মোর্শেদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

 বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, গাজায় মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হচ্ছে। যুদ্ধবিরতির পরও তারা বিরতিতে আসেনি। প্রথমে তারা বলেছিল তারা যুদ্ধ বিরতিতে আসবে কিন্তু পরে তারা আসেনি। এ পর্যন্ত যত মানুষ হত্যা হয়েছে তার মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। 

গতকাল যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জাতিসংঘের যে সাধারণ অধিবেশন ছিল, ১৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে ১৩টি রাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির পক্ষে তাদের ভোট দিয়েছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে এবং যুক্তরাজ্য কোনো ভোটে আসেনি। এ থেকে প্রমাণিত হয়, ইসরায়েল মাঠপর্যায়ে যুদ্ধ চালাচ্ছে কিন্তু এর পেছনে রসদ জোগাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘ যুদ্ধ বিরতির প্রসঙ্গে যে অধিবেশন করে সেটায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো প্রদান করেছে। ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, গাজায় ইতোমধ্যে প্রায় ২২ হাজারের মতো নারী এবং ৪ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এই যুদ্ধ তাদের ওপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন অনেকেই মানবাধিকারের কথা বলে। আমাদের একটা প্রশ্ন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান করেছিল, তাদের যারা মদদ দিয়েছিল তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল? গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত হচ্ছে গাজার ২০ লাখ মানুষ। ইতোমধ্যে ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে যাদের বেশির ভাগই নারী এবং শিশু। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে গাজার এক ইঞ্চি জায়গায়ও ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ নয়। কাজেই এই দমন-নিপীড়ন, শোষণ-নির্যাতন ও ঔপনিবেশিক শাসন বন্ধ করতে হবে। এরই মধ্যে ল্যাটিন আমেরিকা থেকে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর