রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফুয়াদ আল খতিব নামের এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। অচেতন অবস্থায় হলকক্ষ থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফুয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এবং শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ১৮৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একরামুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে বাড়ি থেকে ফিরে হলকক্ষে অবস্থান করছিলেন ফুয়াদ। কিন্তু রবিবার দুপুর পর্যন্ত কক্ষ থেকে বের না হওয়ায় অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ডাকেন এবং কক্ষে প্রবেশ করেন। তার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল না। তারা ভিতরে প্রবেশ করে অচেতন অবস্থায় পেয়ে আমাকে জানায়।
তখন আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৃত ফুয়াদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম আমিনুল ইসলাম।
৯ ডিসেম্বর রাতে প্রাইমারি নিবন্ধন পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি থেকে ফেরেন তিনি। তারপর থেকে কক্ষেই ঘুমাচ্ছিলেন। গতকাল দুপুর ৩টার দিকে তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাঁড়াশব্দ না পেলে কিছু শিক্ষার্থী কক্ষে প্রবেশ করেন এবং তাকে অচেতন অবস্থায় পান। তখন তার মুখ দিয়ে রক্তের মতো লালা পড়ছিল। তিনি হলের সিঙ্গেল কক্ষে থাকতেন।ঘটনার পর সন্ধ্যায় কক্ষ পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ মতিহার থানার ডিসি মধুসূদন রায়। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর সার্বিক বিষয়ে জানা যাবে। তাছাড়া ঘটনাস্থলে ক্রাইম ইউনিট কাজ করছে। প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জানান, মৃত্যুর ঘটনাটা কিছুটা রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তাই বিষয়টি তদন্তের জন্য হল প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসব।