শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের প্রক্রিয়া বন্ধ এবং সাম্প্রদায়িকতা রুখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশ নির্মাণের তাগিদ জরুরি বলেও মত দেন তাঁরা। গতকালের এ আলোচনা অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। সেমিনার উপকমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলমের সঞ্চালনায় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক ও প্রেস ক্লাবের যুগ্মসম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া বক্তব্য দেন। প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হবে যে কোনো মূল্যে। আজ কেন সাম্প্রদায়িকতা বাড়ছে, কেন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে, সে প্রশ্ন করার সময় হয়েছে। তিনি বলেন, কখনো কখনো সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ থাকে না, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, সার্বভৌমত্বের প্রয়োজনে, অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে পক্ষ নিতে হয়। অন্যদিকে গণতন্ত্র না থাকলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকে না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্মান জানাতে হলে আজ আমাদের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিপক্ষে কথা বলতে হবে। ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এবারের জাতীয় নির্বাচন জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নের স্বার্থে, সুস্থ রাজনীতির স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হবে। প্রধান বক্তা ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাবের, শহীদুল্লা কায়সার ও সিরাজুদ্দীন হোসেনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাংবাদিকদের অবদান অনস্বীকার্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় বেছে বেছে সাংবাদিকদের টার্গেট করা হয়েছিল। অন্য বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সেমিনারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
